মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। দীর্ঘ লকডাউন, বেকারত্ব, আশেপাশে সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার পাশাপাশি মাদক ও অ্যালকোহলের অপব্যবহারের ফলে ৭৫ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
‘ওয়েল বিয়িং ট্রাস্ট’ নামের একটি গবেষণা সংস্থার করা গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের মতে, মহামন্দা চলাকালীন বেকারত্বের সাথে আত্মহত্যা এবং ওষুধের ওভারডোজে মৃত্যু বৃদ্ধির ঘটনা জড়িত। গত শুক্রবার এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন গবেষণার প্রধান, মানসিক বিশেষজ্ঞ ডক্টর বেনজামিন মিলার। তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার কথা বললেও আশার বাণী শুনিয়েছেন বেনজামিন মিলার। তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে যদি আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি উন্নতমানের মানসিক স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও কমিউনিটির সমর্থনে ফেডারেল, রাজ্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহ ব্যাপক ব্যবস্থা নিলে ড্রাগের অপব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং আত্মহত্যার পরিস্থিতি ততটা খারাপের দিকে নাও যেতে পারে।’
মিলার বলেন, ‘এটি একটি তথ্যগত ধারণা, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের ফলে মৃত্যুহার পরিবর্তিত হতে পারে। যেহেতু এখনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে শুরু করেনি, ফলে আমরা চাইলে এই সংখ্যায় পরিবর্তন আনতে পারি। এ ক্ষেত্রে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি আমাদের ওপরে বর্তায়।’ তার মতে, মন্দা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলেও কমপক্ষে ২৭ হাজার ৬৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। আর যদি মন্দা কাটিয়ে উঠতে ঢিলেঢালা পদক্ষেপ নেয়া হয় তাহলে আত্মহত্যাসহ নেশার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
ওয়েল বিয়িং ট্রাস্ট কোভিড -১৯ এর বিকাশ ও এর প্রভাবে বিচ্ছিন্নতা এবং অনিশ্চয়তার উপরে বিগত বছরগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই ধরণের মৃত্যু নিয়ে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে, রাজ্য এবং কাউন্টি স্তরের প্রকল্পগুলো দেখানো হয়েছে। তারা মহামারীর কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা যাতে কাজ ফিরে পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য এবং ফেডারেল কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালের মন্দার সময় বেকারত্বের পাশাপাশি আত্মহত্যা এবং মাদক ও ওষুধ সেবনে মৃত্যুর কারণ বেড়েছে। তারা জানায়, ২০০৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০০৯ সালের অক্টোবরে সেটি শীর্ষে উঠে ১০ শতাংশে দাঁড়ায়। এ সময় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও বেড়ে যায়। ২০১০ সালের শুরুতে বেকারত্ব হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে চলে আসে। সে সময় এ ধরণের মৃত্যু সংখ্যাও কমে যায়। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।