Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্ব চীনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২০, ৬:১১ পিএম

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে প্রথমে উহান শহর লকডাউন করা হলেও পরে পুরো চীন লকডাউনে চলে যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে চীনে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কট সে দেশের সামাজিক অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে বেকারত্ব বেড়ে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে গেছে।
গত কয়েক বছরে সে দেশের সেবাখাতগুলোতে কর্মসংস্থান বাড়ার কারণে শ্রমবাজারে স্থিতিশীলতা আসে। এবার করোনাভাইরাসের কারণে বেকারত্ব বেড়ে গেছে। ফলে শ্রমবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনে লকডাউন তুলে দেওয়া হলেও বহু দোকান ও রেস্তোরাঁ বন্ধ আছে। আগের মতো ক্রেতা নেই কোথাও। কর্মীরা কারখানা চালু হওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা কমতে শুরু করায় তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। কিন্তু বেশ কয়েকটি খাত পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
চলমান সঙ্কটের কারণে বেইজিংয়ের সামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, চলতি দশকে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এবং দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে।
জানা গেছে, চীনে ১৪ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে এবং অভিবাসী কর্মী আছে ১৭ কোটি ৪০ লাখ। যারা নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে শহরে আসে কাজ করতে। বেকারত্বের হারে এই দুই ধরনের কর্মীর সঠিক তথ্য উঠে না আসার আশঙ্কা রয়েছে।
শহরে কাজ করে কিন্তু স্থানীয় নয়, এমন অভিবাসী কর্মীরা চাকরি হারানোর পরও এ পরিসংখ্যানে স্থান পায়নি এবং সরকারের সামাজিক সুরক্ষা সহায়তাও তারা পায়নি। তাছাড়া, বেকার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য একজন কর্মীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হয়।
ফলে সরকারি পরিসংখ্যানে শ্রমবাজারের সঠিক চিত্র উঠে আসে না। ২০০৮-২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ২ কোটিরও বেশি অভিবাসী কর্মী চাকরি হারালেও বেকারত্বের হার হিসেবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
২০১৮ সাল থেকে প্রতি মাসে বেকারত্বের হার গণনায় জরিপ করে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস)। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে হয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ। কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফের শুরু হওয়ায় মার্চে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
১ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শহুরে কর্মসংস্থান কমেছে মোট ৬ শতাংশ। এর মানে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ চাকরি হারিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে শহুরে কর্মসংস্থান বেড়েছিল ৮৩ লাখ। কর্মসংস্থান কমার এ হার গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এনবিএসের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কর্মী কম বেতন বা বিনা বেতনে ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ