Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সর্বোত্তম স্থানে সংক্রমণ ও দেশব্যাপী শঙ্কা

হোয়াইট হাউস কথন-১

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলা হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরেও এবার ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসস্থান ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে এর মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে পরপর ৩ জন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মুখপাত্র কেটি মিলার, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারী মিস জন ও ট্রাম্পের এক ব্যক্তিগত গৃহকর্মী সংক্রমণ ধরা পড়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউস পেরিয়ে সমগ্র আমেরিকাতে।

হোয়াইট হাউসের মতো বিশে^র অন্যতম সর্বোচ্চ নিরাপদ স্থানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর প্রশ্ন উঠেছে যে, আসলেই কেউ কোথাও নিরাপদ কিনা। প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূরদর্শিতা এবং তার শাসনামলে আমেরিকান জনগণের ভাগ্য নিয়েও। এসব প্রশ্ন সামনে রেখে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স। পাঠকের সুবিধার্থে ৩ পর্বে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। আজ ১ম পর্ব উপস্থাপন করা হ’ল:

যদি ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া এভিনিউতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা এত কঠিন হয়, তবে কীভাবে সারাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ কর্মস্থলের ব্যবস্থা করতে পারে?

লকডাউন তুলে নিতে উৎসুক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য আমেরিকানদের আশ্বস্ত করা কঠিন হয়ে উঠেছে যে, কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়া নিরাপদ হবে। তবে গত কয়েক দিন ধরে প্রমাণিত হয়েছে যে, তার নিজের কর্মস্থলও করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ নয়। শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিবের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরই আরো সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য এয়ার ফোর্স-২ উড্ডয়নে বাধা দিয়ে মাইক পেন্সের আধ ডজন সহযোগী ও সদস্যদের বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়।

প্রেসিডেন্টের সামরিক গৃহ সহকারী সংক্রমিত হওয়ার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটে। এর সসকিছুই একটি সুস্পষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করেছে: বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত অফিসের ঠিকানা, ১৬০০ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ, যেখানে সদস্য কর্মীদের নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়, অনেকে প্রতিদিনই পরীক্ষা করার মতো সুযোগ পান, সেখানে যদি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা এতটা কঠিন হয়, তাহলে এই ধরনের সুযোগ সুবিধার ধারে কাছে না থাকা সারা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে পারবে তাদের শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ স্থান সংস্থাপন করতে?

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রাক্তন সহকারী সচিব জুলিয়েট কাইয়েম বলেছেন, ‘ভাইরাসটি হোয়াইট হাউসে রয়েছে, আপনি যে দৃষ্টিতেই এটিকে দেখুন।’

‘এটি ভেতরে থাকুক বা না থাকুক, আমরা শিগগিরই যথেষ্ট জানব। তবে সত্য যে, কোনো জায়গা সুরক্ষিত, ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধের সর্বোত্তম সুবিধা পাওয়া সত্তে¡ও ভাইরাসটি ঠেকাতে সক্ষম নয়। এটিকে পরাস্ত করার যেকোনো প্রত্যয়কে ধ্বংস করার ক্ষমতা এর আছে। হোয়াইট হাউসের পশ্চিমাংশ এবং আবাসিক বহুতল উভয় স্থানেই ভাইরাসের উপস্থিতি মহামারীর এই চরম পর্যায়ে দ্বিধাদ্ব›দ্ব জর্জরিত জাতির মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে হোয়াইট হাউসকে।

যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৭৭ হাজারেরো বেশি করোনা মৃত্যু ঘটেছে এবং দিন দিন বেড়েই চলেছে। অঙ্গরাজ্যগুলি এবং নিয়োগকর্তারা শ্রমিক, গ্রাহক এবং মক্কেলদের ঝুঁকিতে না ফেলে কখন এবং কীভাবে পুনরায় ব্যবসা চালু করবেন তা নিয়ে সংগ্রাম করছেন। তবে যথাসম্ভব মৃত্যু এড়িয়ে ঝুঁকি হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায় সম্পর্কে খুব একটা বিস্তারিত জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি নিজেরা সংক্রমিত হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করার পরেও, হোয়াইট হাউস রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র কর্তৃক বর্ধিত সুপারিশমালাকে অত্যধিক মাত্রার ব্যবস্থাপত্র হিসাবে বিবেচনা করে সেগুলি প্রকাশের বিষয়টি আটকে রেখেছে।

ফলস্বরূপ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবনবাজি রেখে তাদের সেরা অনুমানে নির্ভর করে চলতে হচ্ছে।
ট্রাম্প এবং পেন্স ২ জনকেই এখন প্রতিদিন পরীক্ষা করা হয় এবং সর্বশেষ সংক্রমণ আবিষ্কারের পর উভয়ের ফলই নেগেটিভ এসেছে। (চলবে)



 

Show all comments
  • jack ali ১১ মে, ২০২০, ১২:৫২ পিএম says : 0
    May Allah wipe out Trump and his associates by corona virus. Ameen
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ