মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারি করোনার মধ্যেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিনামূল্যে বিতরণ করা খাবারের জন্য শনিবার হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয়েছিল। এ ঘটনায় ধনী দেশ সুইজারল্যান্ডে শ্রমজীবী ও অবৈধ অভিবাসীদের ওপর করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রভাব প্রকাশ্যে উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জেনেভার একটি আইস স্কেটিং গ্রাউন্ডের সামনে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় ১৫০০ পার্সেল বিতরণ করে। স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে এখানে লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে জড়ো হওয়া মানুষের লাইন এক কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা হয়ে যায়।
জেনেভার বাসিন্দা ইনগ্রিড বেরালা বলেন, মাসের শেষে আমার পকেট শূন্য। ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের বিল দিতে হয়। এখানে এক সপ্তাহের জন্য খাবার দেয়া হচ্ছে, এটা দারুণ। এক সপ্তাহের জন্য স্বস্তি।
প্রায় ৮৬ লাখ জনসংখ্যার দেশ সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালে ৬ লাখ ৬০ হাজার দরিদ্র লোক ছিল বলে জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা কারিতাস। ওই বছর দেশটিতে ১১ লাখেরও বেশি লোক দারিদ্রের ঝুঁকিতে ছিল।
সাহায্য সংস্থা জেনেভা সলিডারিটি ক্যারাভান-এর প্রধান সিলভানা মাত্রোমাত্তিও বলেন, ‘আমি মনে করি অনেক মানুষ এ বিষয়ে সচেতন, কিন্তু এ দৃশ্য নিজ চোখে দেখা ভিন্নতর’।
‘আমরা একজনকে পেয়েছি, যে অশ্রুসজল চোখে বলছিল, ‘এটা অসম্ভব ব্যাপার যে, এটা আমার দেশে হচ্ছে’। কিন্তু এটাই বাস্তবতা এবং সম্ভবত কোভিড-১৯ সবকিছুকেই উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এটা ভাল, কারণ এখন আমরা আমাদের এসব শ্রমিকদের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারব। সবকিছুর ওপর তারা আমাদেরই শ্রমিক’।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স গ্রুপের মিশন প্রধান প্যাট্রিক উইল্যান্ড বলেন, খাবার গ্রহণকারী যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয় তাদের অর্ধেকেরও বেশি অননুমোদিত। অন্যরা আইনগত অবস্থান পেয়েছেন, সুইস ছিলেন বা আশ্রয় চেয়েছিলেন।
‘বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর জেনেভাতে সবসময়ই লোকেরা খুব ঝুঁকিতে বাস করে, বিশেষত এমন সব লোক যারা গৃহকর্মী, কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ বা হোটেল শ্রমিক এবং তারা রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়ে’ -তিনি বলেছিলেন।
ফার্নান্ডো নামে পরিচয় দেয়া অবৈধ অভিবাসী বলছিল, সঙ্কটের মুহূর্তে সে তার রেস্তরাঁর চাকরিটি হারায় এবং বেতনও পায়নি। তিনি বলেন, আমি এ সহায়তা পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত এবং আমার যদি অবস্থার পরিবর্তন হয় তাহলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমিও একই কাজ করব আজ তারা যা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।