Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হবে হাজার অভিবাসীকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম

যুক্তরাজ্যের কয়েক হাজার অভিবাসী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন কারণ তাদের ভিসার মেয়াদ মে মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

গত ২৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের হোম অফিস বলেছিল, ২৪ জানুয়ারী থেকে ৩১ মে এর মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং কোভিড-১৯ এর কারণে যিনি ব্রিটেন ছাড়তে পারছেন না, তাদের ভিসা মে মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এরপরে এই নির্দেশিকাটির কোনও পরিবর্তন আসেনি। অর্থাৎ, আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে।

ইমিগ্রেশন আইনজীবীরা ভিসা সম্প্রসারণ না করে অভিবাসীদেরকে ‘চাপ ও উদ্বেগজনক’ অবস্থায় ফেলে দেয়ার জন্য হোম অফিসকে অভিযুক্ত করেছেন এবং জরুরীভাবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

যে ভিসাধারীরা এই মেয়াদ বাড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করেন নি এবং যাদের ভিসা ৩১ মে’র পরে শিগগিরই শেষ হবে তারাও চিন্তিত কারণ লকডাউনের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় তারা তাদের ছুটি বাড়ানোর আবেদন করতে পারছেন না। এই আবেদনটি করতে হয় ব্রিটেনের বাইরে থাকার সময়।

হোম অফিস জানিয়েছে যে. মে মাস শেষ হওয়ার আগে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা ব্রিটেনের অভ্যন্তরে থেকেও বাইরে থেকে যেভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সে ভাবেই আবেদন করতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশনের আইনজীবী হারজাপ ভাঙ্গাল জানান, ‘অনেকেরই ভিসার সময়সীমা পেরিয়ে গেছে বা নিকট ভবিষ্যতে শেষ হয়ে যাবে। হোম অফিস এই পরিস্থিতিতে কোনও ছাড় বা কোনও ধরণের পরিষ্কার নির্দেশিকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা যদি এখন আবেদন করেও তবে প্রত্যাখ্যান হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রত্যাখ্যাত হলে তাদেরকে প্রায় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার পাউন্ড আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। অতিরিক্ত সময় থাকার জন্য তারা ‘অবৈধ’ ঘোষিত হবেন এবং এ কারণে নিঃসন্দেহে তাদের চাকরি চলে যাবে। তারা অপসারণের মতো পদক্ষেপের মুখোমুখি হবেন এবং ফলস্বরূপ তাদের পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ল প্র্যাকটিশনারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএলপিএ) আইনী পরিচালক সনিয়া লেনেনান বলেন, ‘মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে হোম অফিস বাস্তবিকভাবে আশা করতে পারে না যে এই সমস্ত লোক এখন বিমানে উঠে চলে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘জনগণকে এ জাতীয় চাপ ও অনিশ্চিত অবস্থানে রেখে যাওয়া ঠিক নয়। আর একবার দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানো জরুরী বিষয় হিসাবে অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত। মার্চ মাসে, আইএলপিএ ভিসার মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল এবং এখনও আমরা একই অবস্থানে আছি।’

স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যে সমস্ত বিদেশী নাগরিক বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন এবং দেশে ফিরতে পারছেন না তাদের সকলের জন্য আমরা ভিসা ২০২০ সালেন ৩১ মে অবধি বাড়িয়েছি।’ তিনি জানা, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনার অধীনে রাখা হয়েছে, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোন পরিস্থিতির জন্য কাউকে শাস্তি দেয়া হবে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ