দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনার চিকিৎসায় যুক্ত হলো হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ৫০০ শয্যা
স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম
.jpg)
রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মাধ্যমে হাসপাতালটি আগামী অক্টোবর পর্যন্ত করোনা চিকিৎসা হাসপাতাল হিসেবে চলমান থাকবে। রোববার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় জানানো হয়, ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালের ৫০০ শয্যা কোভিট-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহƒত হবে।
কার্যক্রমের উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বক্তব্যে বলেন, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসা দেবার সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে এরকম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এই হাসপাতালের মোট ৭০০ বেড থেকে ৫০০ বেড শুধুমাত্র কভিড-১৯ রোগীদের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে। এখানে পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভীজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালটিতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১০টি, ভেন্টিলেটর ৭টি, ডায়ালাইসিস মেশিন ৭টিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। এখানে আলাদা কেবিন রয়েছে ৭৫টিরও বেশি। করোনা চিকিৎসার জন্য যদি আরো কিছু প্রয়োজন হয় সরকার এখানে তা প্রদান করবে।
করোনার পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক জানান, দেশে শুরুতে করোনা রোগীদের পরীক্ষায় মাত্র ১ টি ল্যাব ছিল। বর্তমানে ৩৫ টি ল্যাব রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫ হাজারের উপরে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বল্প সময়ে আরো ১৬ টি পরীক্ষা ল্যাব স্থাপন করা হলে পরীক্ষার সংখ্যা দিনে ৮ থেকে ১০ হাজারে পৌছানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, শিগগিরি হলি ফ্যামিলি হাসপাতালেও করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার এমপি’র সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরে মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল।
প্রসঙ্গত, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালটিকে কভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে গত ৭ মে সরকারের স্বাস্থ্যখাতের সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সে প্রেক্ষিতেই রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটিকে কভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেন।
প্রথমিক অবস্থায় চুক্তি অনুযায়ী আগামী অক্টোবর পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিবে সরকার। তবে করোনার প্রকোপ না কমলে চুক্তির মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. হাবিবে মিল্লাত।
