মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আশার আলো। বাঁদরের উপর করোনা ভাইরাসের টীকার পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পশুর শরীরে করোনা টীকার পরীক্ষা সফল হয়েছে। এতেই নতুন দিশা দেখতে শুরু করেছে বিশ্ব। এদিকে, ঘরে বসেই লালার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনাভাইরাসের টীকা তৈরির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। আমেরিকা, ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, রাশিয়া, থেকে বেলজিয়াম সকলেই করোনা ভাইরাসের টীকা হাতে পেতে চায়। চীন চুপচাপই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। বেইজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেক নামে একটি গবেষণা সংস্থা পাইকোভ্যাক নামে কোভিড-১৯-র টীকা তৈরি করেছে। সেটা বাঁদরের শরীরে পরীক্ষা মূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম কোনও পশুর শরীরে এই টীকার পরীক্ষা মূলক প্রয়োগ হল। কীভাবে পরীক্ষা কীভাবে পরীক্ষা একেবারে সাদামাটা প্রক্রিয়ায় করোনা ভাইরাসের এই টীকা তৈরি করেছে চীনের বিজ্ঞানীরা।
বাঁদরের শরীরে একটি প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। সেই প্রক্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা কোন পথে গবেষণা কোন পথে বিশ্বের করোনা আক্রান্ত ১১ জন রোগীর ১১ রকমের ভাইরাস সংগ্রহ করেছিলেন তারা। তারমধ্যে ৫টি চীনের, ৩টি ইতালির, একটি করে সুইৎজারল্যান্ড এবং ব্রিটেনের এবং একটি স্পেনের। গবেষকরা তারমধ্যে বাঁদরের শরীরে টীকার দুটি ডোজ দেন। তারপরে বাঁদরটির ফুসফুসে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করান তারা। তাতে দেখা গিয়েছে বাঁদরটি সুস্থ রয়েছে এবং করোনা ভাইরাসের কোনও প্রভাব তার উপরে পরেনি।
৭টি দেশ টীকা পরীক্ষা করছে ৭টি দেশ টীকা পরীক্ষা করছে এই মুহূর্তে বিশ্বের সাতটি দেশ করোনার টীকা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র চীনেই চার রকমের টীকার পরীক্ষা চলছে। আমেরিকা এক রকমের টীকা এবং ব্রিটেন এক রকমের টীকা পরীক্ষা করেছে। আমেরিকা এবং জার্মানি যৌথ উদ্যোগে আবার টীকা পরীক্ষা করেছে।
চীনা বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে তারা দুটি অ্যান্টিবডি সনাক্ত করেছে যা করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ডিরেক্টর জর্জ ফু গাওয়ের নেতৃত্বে এক গবেষণায় দেশজুড়ে সহযোগীদের নিয়ে এই হোস্ট ভাইরাসটি আটকাতে বাধা দেয়ার জন্য একটি দল হিসাবে একত্রে কাজ করতে দেখা গেছে।
এদিকে, এখন থেকে ঘরে বসেই লালা সংগ্রহের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা যাবে। গত শুক্রবার ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়ন্ত্রকরা এই পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত মাসে কোভিড-১৯ নির্ধারণে সহায়তার জন্য প্রথম লালা পরীক্ষার জন্য মার্কিন সরকারের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। এর বেসরকারী খাতের অংশীদার, ভল্ট হেল্থ, টেলিমেডিসিন স্বাস্থ্য পেশাদারের তত্ত্বাবধানে, বাড়িতে যেয়ে রোগীদের লালা সংগ্রহের মাধ্যমে (একটি প্রেসক্রিপশনসহ) পরীক্ষা করা শুরু করে।
ভল্ট হেলথ প্রাথমিকভাবে জানায় যে, ট্রাম্প প্রশাসনের টেলিমেডিসিন সম্প্রসারণের অধীনে, এফডিএ’র প্রোটোকল মেনে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রোগির নমুনা সংগ্রহের কাজটি করে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ১০ হাজার পরীক্ষা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।