Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার ভয়াবহতায় গুজরাটে সেনা মোতায়েন

এএফপি | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা মহামারীতে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার শত শত আধা সামরিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে করোনাভাইরাস-হটস্পট গুজরাট রাজ্যে। অফিসিয়াল তথ্যে দেখা যায়, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে বিশ্বের বৃহত্তম লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করার মুহূর্তেই রোগটি মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত ভারতে ১ হাজার ৯৮৬ জন মারা যাওয়ার পাশপাশি প্রায় ৬০ হাজার সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সীমিত পরীক্ষা এবং অসম্পূর্ণ রেকর্ড স্বাস্থ্য সঙ্কটের সত্যিকারের মাত্রাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে একশোতে বেড়েছে, যখন সংক্রমণের হার প্রতি দশ দিনে প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগে এটি প্রতি ১২ দিনে ছিল।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এএফপিকে বলেছেন, সেখানে কোনও অনিয়ন্ত্রিত ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ নেই। বর্ধন বলেছেন, ‘ভারত বেশ কয়েকটি উন্নত দেশের তুলনায় কোভিড-১৯ সঙ্কটকে আরও পরিপক্কভাবে হ্যান্ডল করে বিশ্বকে অবাক করেছে। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ভারত গতি, স্কেল, সংকল্প এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছে’।

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, জুন বা জুলাই মাসে ভারতের মহামারীটি বক্ররেখা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। পাশ্চাত্য রাজ্য গুজরাত প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ সংক্রমণ নিয়ে সবচেয়ে মারাত্মক হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো রোধের লক্ষ্যে লোকজনকে রাস্তা থেকে সরাতে শুক্রবার আহমেদাবাদ, সুরাট ও ভোদোদড়া শহরে কয়েকশ’ আধাসামরিক সদস্য টহল শুরু করেছে।
৫৫ লাখ জনসংখ্যা এবং রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্তের ৭০ শতাংশ আহমেদাবাদে হওয়ায় এটি মুম্বাই ও নয়াদিল্লির পাশাপাশি ভারতের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ শহর হয়ে উঠেছে। অনেক রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে এবং বেশিরভাগ খাবারের দোকান বন্ধ রয়েছে।

আহমেদাবাদ পৌর কমিশনার মুকেশ কুমার বলেছেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে যেহেতু অনেক সবজি বিক্রেতা এবং দোকান মালিক পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে, দুধের দোকান এবং ফার্মেসি বাদে সমস্ত দোকানকে কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে’।
ভারতজুড়ে মারাত্মক সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রস্তুতি হিসাবে বড় শহরগুলির ২১৫টি স্টেশনে ৫ হাজার ১৫০টিরও বেশি রেলবগি পার্ক করা রয়েছে, যেগুলো করোনাভাইরাস আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং প্রথম রোগীরা পরবর্তী সপ্তাহে থাকা শুরু করতে পারে। দেশব্যাপী লকডাউন ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল এবং ১৭ মে শেষ হতে চলেছে।

ক্রমবর্ধমান মৃত্যু সত্তে¡ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার বিধিনিষেধ আরো শিথিল করার প্রচন্ড চাপে রয়েছে। কারণ, এই লকডাউন লাখ লাখ দরিদ্রকে চাকরিবিহীন করেছে এবং শিল্পের আয় কমিয়ে দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ