Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা কেড়েছে রোজার আনন্দ ও ইফতার আতিথেয়তা

ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের মাস রমজানুল মুবারক। বিশ্ব মুসলিমের জন্য বয়ে আনে মুক্তির বার্তা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য মাহে রমজান নেয়ামতস্বরূপ। অথচ মহিমান্বিত এই মাসে আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মসজিদগুলো বন্ধ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় শুধু আজান দেয়া হয়। বিশেষ করে আমিরাতে আজানে হাইয়্যা আলাস্ সলাহ ও হাইয়্যা আলাল- ফালাহ-এর স্থলে বলা হয় ‘আসসালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ অর্থাৎ আপনারা ঘরে নামাজ পড়ুন। মুসলিম উম্মাহ’র জন্য কি হৃদয় বিদারক এক বাক্য। নামাজের আহ্বানে বলা হলো ঘরে নামাজ আদায়ের জন্য।
মহিমান্বিত মাসে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করবে, জুমার নামাজ ও তারাবিহ’র নামাজ পড়বে, এটাইতো মুসলিম উম্মাহ’র আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ইবাদতের বড় একটি সুযোগ। অথচ মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে ইবাদত করতে পারছেন না। করোনায় যেন কেড়ে নিয়েছে রোজার সব আনন্দ। এ যেন মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে রোজাদার ও মুসল্লিদের বুক ফাটা করুণ আর্তনাদের মতো।
অপরদিকে মহিমান্বিত এই মাসে সিয়াম সাধনায় লিপ্ত সংযমী মানুষদের প্রতি আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আরবদের যে কি অপার শ্রদ্ধাবোধ তা চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না তাদের ইফতার আতিথেয়তার গুণ সম্পর্কে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এবার কেড়ে নিয়েছে রোজার আনন্দ ও রোজাদারদের সম্মানে আরবদের সেই ইফতার আতিথেয়তা।
বিগত রমাজানে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারিভাবে পাড়া-মহল্লায় কিংবা বড় বড় মসজিদের পাশে তাঁবু টাঙিয়ে বিশাল প্যান্ডেল বানিয়ে ব্যাপকভাবে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি আরবদেরকে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি থামিয়েও নামি-দামি ইফতার প্যাকেট বিতরণ করতে।
এছাড়া ইফতারের সময় একজন অন্যজনকে প্রাধান্য দেয়া কিংবা জোর করে ইফতারে শরীক করানো দেখলে তখন মনে হতো যেন হাজার বছর ধরে বংশ পরম্পরায় ধারণ করা আতিথেয়তার গুণটি আরবরা ধরে রাখার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন পুরোদমে। কিন্তু ইফতার আতিথেয়তায় সব আনন্দ উদ্যোগ এবার ধুলিস্যাত করে দিয়েছে করোনাভাইরাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ