পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ শিশু-কিশোর ইন্টারনেট ঝুঁকিতে রয়েছে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ গত ১৮ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লকডাউনে ঘরবন্দী দেশের প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু-কিশোর (প্লে থেকে দশম শ্রেণি)। সরকার স্কুল-কলেজের নির্দেশনা অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস করায় ফলে ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশু-কিশোররা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সেই সাথে ঘরে আটকে রাখলেও আমরা যে ইন্টারনেট কোমলমতি শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দিচ্ছি তা কি আদৌও নিরাপদ? এখনো এই মাধ্যম শিশু-কিশোরদের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয়নি।
তিনি বলেন, গত ৬ মে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) খুব কম বয়সের শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি স্কুল-কলেজ বন্ধ। এরা লেখাপড়া, খেলাধুলা, ভিডিও গেমস দেখতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এতে করে তারা সাইবার ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও ডিভাইস স্বল্পতার কারণে যদি ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটের বাইরেও থাকে তারপরেও প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ শিশুর ইন্টারনেটের অশুভ প্রভাব তাদের উপর পড়বে। সেই সঙ্গে অতিমাত্রায় ব্যবহারের ইন্টারনেট আসক্তির বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তার বিষয়টি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই এবং এ নিয়ে কোন নীতিমালাও তৈরি হয়নি। ইতোমধ্যে আইটিইউ কিছু সুপারিশমালা তৈরি করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সকলেই জানি ইন্টারনেটের যে বিষয়ে আমরা জানতে চাই তার পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত বিষয়গুলিও চলে আসবে। ফলে কোমলমতি শিশুরা যা জানার কথা প্রাপ্ত বয়সে তা জেনে যাচ্ছে মেধা বিকাশের পূর্বেই। সেই সাথে তারা সাইবার ঝুঁকিতে নিজে এবং তার পরিবারকে ফেলতে পারে। এজন্য তিনি অভিভাবকদের সচেতন থাকার এবং সরকারকে দ্রুত ইন্টারনেটের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরালোভাবে দেখার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।