Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ৭৯ জনের মৃত্যু

পটুয়াখালী ও সিলেট জেলায় বেশি ঘটনা ঘটেছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২০, ৩:০৬ পিএম

সারাদেশে চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বজ্রপাতে ৭৯ জনের মারা গেছে। এদের মধ্যে ১১ জন নারী এবং ৬৮ জনই পুরুষ। নারী ও পুরুষের মধ্যে ৩ জন শিশু এবং ৯ জন কিশোর নিহত হয়েছে। এ চার মাসে বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন ২১ জন। তার মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী রয়েছে। নারী ও পুরুষের মধ্যে ২ জন কিশোর রয়েছে।
দেশের জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা রিপোর্ট বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেভ দ্যা সোসাইটি এন্ড থান্ডর স্টম অ্যাওয়ারন্সে ফোরাম এ তথ্য প্রকাশ করছে।
পটুয়াখালী ও সিলেট জেলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বিভাগ ওয়ারি বিশ্লেষণ করলে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে- ১৪ জন, বরিশাল বিভাগে -১১ জন, চট্টগ্রাম-১৪ জন, রাজশাহী- ৪ জন, খুলনা- ৭ জন, সিলেটে-১৩ জন, রংপুর-৬ জন, ময়মনসিংহ- ৯ জন। ২০১৯ সালে সারাদেশে বজ্রপাতে নিহত হন ২৪৬ জন। এর মধ্যে ৩০ জন নারী, ৬ জন শিশু, ৮ জন কিশোর-কিশোরী এবং ২০২ জনই পুরুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত জানুয়ারি মাসে প্রচন্ড- শীত থাকায় এ মাসে বজ্রপাত হয় না। তবে এবার কন কনে শীতের মধ্যেও জানুয়ারি মাসে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে ৩ জন। তারা ৩ জনই পুরুষ। ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মার্চ মাসে ৬ জন এবং এপ্রিল মাসে ৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
মার্চ মাসে ২ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে মার্চ মাসে আহত হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে ২জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এপ্রিল মাসে মোট নিহত হয়েছেন ৭০ জন। এর মধ্যে নারী ৮ জন এবং ৬২ জনই পুরুষ। নারী ও পুরুষের মধ্যে শিশু ৩ জন, কিশোর ৭ জন এবং কিশোরী ২ জন। এছাড়া এপ্রিল মাসে বজ্রাঘাতে মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। সবয়েছে বেশি ৪০ জন নিহত হয়েছে কৃষি কাজ করার সময়। নৌকায় বসে মাছ ধরার সময় ২ জন। মাঠ থেকে গরু আনার সময় নিহত হয়েছে ১২ জন। আম কুড়ানোর সময় ১ জন। ঘরে অবস্থানকালীন ৪ জন। পাথর উত্তোলনের সময় ২ জন। মাঠে খেলা করার সময় ১ জন। বাড়ির আঙিনায় খেলা করার সময় ২ জন। ফাকা রাস্তায় চলার সময় ৪ জন। রিকশা চালানোর সময় ১ জন। গাড়িতে থাকাকালীন ২ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার সময়, নির্মাণ কাজ করার সময় ও হাওরে অবস্থানকালেসহ বিভিন্ন সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছে ৬ জন।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শরীয়তপুরে- ৩ জন, কিশোরগঞ্জে- ২ জন, মুন্সিগঞ্জে-২ জন, রাজবাড়ী-১ জন, মাদারীপুর-৩ জন, ফরিদপুর-৩ জন, কুমিল্লা-১ জন, কক্সবাজার-৫ জন, খাগড়াছড়ি -১ জন, নোয়াখালী-৩ জন, চাদপুর-১ জন, লক্ষীপুর-৪ জন, সিরাজগঞ্জ-১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ জন, নাটোর-১, নওগাঁ-১, খুলনা-১, যশোর-২ জন, নড়াইল-১, চুয়াডাঙ্গা-১, মাগুরা-১, ঝিনাইদহ-১, পটুয়াখালী-৭, পিরোজপুর-২, ভোলা-১, বরগুনা-১, সিলেট-৭, হবিগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৪, দিনাজপুর-১, গাইবান্ধা-৫, ময়মনসিংহ-৩, শেরপুর-১, জামালপুর-১ ও নেত্রকোণায় ৪ জন নিহত হয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বজ্রপাত

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ