মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি স্মরণাতীতকালের গভীরতম মন্দায় পড়েছে। নতুন একটি গবেষণা জরিপ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়ার পর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, দেশটির অর্থনীতি এখন পর্যন্ত দ্রæততম এবং সবচেয়ে গুরুতর সঙ্কোচনের কবলে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আইএইচএস মার্কেট পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স-পিএমআই যা ৫০ পয়েন্টের নিচের সবকিছুকে এই খাতের সঙ্কোচন হিসেবে দেখায়, তা হ্রাস পেয়ে ১৩.৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এর আগে, ২০০৮ সালে গভীর অর্থনৈতিক মন্দার সময় জরিপটি ৪০.১ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৭৯ শতাংশ ব্যবসায়িক কার্যক্রম হ্রাস পায়।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে ২৩ মার্চ থেকে রেস্টুরেন্ট, বার, অ-জরুরি খুচরা বিক্রয় এবং অন্যান্য পরিষেবা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পতন প্রত্যাশিত ছিল কারণ।
আতিথেয়তা ব্যবসায়ের অনুদান এবং ছোট সংস্থাগুলিকে কম সুদে ঋণ দেয়ার মতো সরকারি পদক্ষেপগুলি এই সঙ্কোচনকে করোনাভাইরাস লকডাউনের একটি যথাসম্ভব অস্থায়ী ফলাফল হিসেবে রাখতে এবং দীর্ঘমেয়াদী হতাশায় পরিণত না হওয়া নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে অর্থনীতি কীভাবে বর্তমান সময়ের প্রভাব কাটিয়ে ইতিবাচক করে তোলা যায়, তা চরম হতাশাবাদী এবং আশাবাদী পর্যবেক্ষণের বিশাল বৈষম্যের মধ্যে প্রায় অসম্ভব একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইএইচএস মার্কেটের অর্থনীতি পরিচালক টিম মুর বলেছেন, ‘এপ্রিলের পিএমআই’র তথ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে, ২০২০ সালের ২য় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক মন্দা স্মরণকালের যেকোনো সঙ্কোচনের থেকে বেশি গভীর এবং আরো ব্যাপক হবে।
তিনি বলেন, ‘জিডিপি এবং পিএমআই’র মধ্যে ঐতিহাসিক তুলনা ইঙ্গিত দেয় যে, এপ্রিলের জরিপের পর্যালোচনাটি প্রতি ১৫ দিন নাগাদ প্রায় ৭ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক পতনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
মুর আরো বলেন, ‘তবে আমরা আশঙ্কা করছি, জিডিপির কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত পতন আরো বেশি হতে পারে, কারণ পিএমআই স্ব-কর্মসংস্থান এবং খুচরা খাতের বিশাল অংশকে বাদ দিয়ে গণনা করে।’
এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যের বরাতে জানা গেছে যে, ইংল্যান্ডে ২৯ হাজারেরও বেশি লোক করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন। এটি ইউরোপে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করলে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের মৃত্যুর সরকারি সংখ্যা ৩২ হাজার ৩১৩। পূর্ব ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইটালির তুলনায় এটি সর্বোচ্চ। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ফ্রান্স ২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।