মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা লকডাউনে কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় নেওয়া সহায়তা প্যাকেজের জন্য বাজেটে চাপ পড়ায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩ লাখ কোটি ডলার ঋণ করতে চায় তারা, যা ২০০৮ সালের পর কোনো ত্রৈমাসিকে নেওয়া ঋণের চেয়ে রেকর্ড পাঁচ গুণ বেশি।
২০১৯ সালে সারা বছরে দেশটির ঋণের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২৮ ট্রিলিয়ন। সরকারের মোট ঋণ এখন প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ৩ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন : ১ লাখ কোটি) ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আছে স্বাস্থ্য তহবিল, নগদ সহায়তাসহ ত্রাণ কার্যক্রম। এই সহায়তা প্যাকেজের আকার দেশটির অর্থনীতির প্রায় ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া বার্ষিক কর দানের সময়সীমা ১৫ এপ্রিল থেকে বাড়ানোর কারণে নগদ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। আর এ কারণেই নতুন এই ঋণ করতে চাইছে সরকার।
করোনার অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আরও সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে, যদিও রিপাবলিকান কিছু নেতা দেশটির আকাশছোঁয়া ঋণের ওপর এই বেশি ব্যয়ের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সরকারি বন্ড নিয়ে ঋণ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ঋণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে তুলনামূলকভাবে কম সুদের হার উপভোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা এই বিনিয়োগকে তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকি হিসেবে দেখেন।
করোনাভাইরাসের আগেই দেশটির ঋণের বোঝা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে বহু অর্থনীতিবিদ একে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করছিলেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্র যতটা ব্যয় করেছিল, তার চেয়ে বেশি ঋণ নিচ্ছিল।
মার্কিন কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস গত মাসে পূর্বাভাস দেয়, চলতি বছর বাজেটঘাটতি ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। একই সঙ্গে সরকারের ঋণ ছাড়াবে জিডিপির ১০০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, মহামারির আগে সরকারের অবস্থা আরও ভালো থাকলে তিনি খুশি হতেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বিপর্যয় রোধে এখন ব্যয় করা অপরিহার্য। কারণ, ভাইরাসের বিস্তার কমানোর জন্য নেওয়া লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে রয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।