মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে ৩৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানা যাবে এবং এটি হবে ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিখুঁত। অর্থাৎ, এতে ভুলের সম্ভাবনা প্রায় নেই। এদিকে, নতুন আরেকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা, যা চলতি বছরের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে।
এডিনবার্গের ব্লাড-স্ক্রিনিং সংস্থা কোয়েটিয়েন্টের গবেষকরা এই সেরোলজিকাল স্ক্রিনিং মেশিনটি তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর এন্টিবডি নির্ণয় করা যাবে। এর ফলে কারও শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সক্ষমতা সম্পর্কে জানা যাবে। প্রতিটি টেস্ট কিট দিয়ে দিনে প্রায় ৩ হাজার টেস্ট করা যাবে। তবে আশঙ্কা রয়েছে যে, ইউরোপের আগ্রহের কারণে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস) এই সুবিধা হাতছাড়া করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ১২ টি স্ক্রিনিং মেশিন প্রস্তুত রয়েছে, আরও ২০ টি চলতি বছরের শেষ দিকে প্রস্তুত হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে তবে ইতিমধ্যে ইউরোপ জুড়ে আগ্রহী দেশগুলো তাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।
কোয়েটিয়েন্টের সদর দফতর সুইজারল্যান্ডে। তাদের বিজ্ঞানীরা নতুন উদ্ভাবিত পরীক্ষাটি নিয়ে ব্রিটিশ এবং স্কটিশ সরকারকে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে এনএইচএস উপকার পেতে পারে। যদিও ব্রিটিশ সরকার বলছে যে, তাদের করোনভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগার সক্ষমতা রয়েছে। তবে তাদের ঠিক কতগুলো পরীক্ষাগার আছে তা জানা না গেলেও তার বেশিরভাগই জরিপের জন্য বিদ্যমান রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
শুক্রবার, কোয়েটিয়েন্ট তাদের ১০০ শতাংশ সংবেদনশীলতা এবং ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ নিখুঁত মোসাইকিউ সেরোলজিকাল স্ক্রিনিং মেশিনটির জন্য ইউরোপীয় রেগুলেটরির অনুমোদন পেয়েছে। এ বিষয়ে কোয়েটিয়েন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ ফ্রানজ ওয়াল্ট, যিনি ২০০৩ সালে সার্সের জন্য প্রথম ডায়াগনস্টিক টেস্ট তৈরি করেছিল যে পরীক্ষাগার, সেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমরা এই জাতীয় একটি দ্রুত এবং নির্ভুল পরীক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে পেরে সত্যিই গর্বিত।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনেক বেশি লোককে সহায়তা করতে পারছি।’
এই কিটের বিষয়ে স্কটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘নতুন অ্যান্টিবডি পরীক্ষা উপলভ্য হলে সেটি যাতে সবাই পায় তা নিশ্চিত করতে স্কটিশ সরকার যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।’
এদিকে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা নতুন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছেন যার মাধ্যমে করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন, যেটি যুক্তরাজ্যের প্রথম, সেটির মানবিক পরীক্ষা চলছে। আগামী মাসে এর ফল জানা যাবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
উইল্টসের স্যালিসবারির কাছে ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্যে বিভাগের পোর্টন ডাউন ল্যাবে আগামী সপ্তাহ থেকে পশুর উপরে নতুন এই ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু হবে। এটি রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি সহায়তা করতে পারে। চলতি বছরের শেষের দিকে এটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারে। ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে পারে। সূত্র : দ্য সান, ইভনিং স্টান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।