প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
করোনায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন মওকুফ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার সরকারের কাছে এ আবেদন জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব,প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ আবেদন জানানো হয়। ই.মেলে পাঠানো আবেদনটি প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় এতে।
আবেদনে বলা হয়,করোনা ভাইরাস এখন এক আতংকের নাম। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এর পরিস্থিতি অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। করোনার কারণে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে দীর্ঘদিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারছে না। লেখাপড়ার মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। সেইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও পারছে না শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরণের পড়াশুনা করা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরণের পাঠ দান করা হচ্ছে না এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক টিউশন ফি আদায় করতে পারে কি না-এ প্রশ্ন রাখা হয় আবেদনে। ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এ বিষয়ে ‘ইনকিলাব’কে বলেন,করোনার সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত, সময়োপযোগী ও মানবিক। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করছে। টিউশন ফি আদায় করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের প্রতি নোটিস দেয়া হচ্ছে। তাদের সামনের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না এমনকি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। ‘ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’ মনে করছে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, এবং মধ্যবিত্ত অনেকের চাকরি ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন দেয়া কষ্টকর। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যদি পূর্ণ মাসিক বেতন আদায় করা হয় তাহলে বিষয়টি হবে অমানবিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে সেই চুক্তিরও পরিপন্থি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।