পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আজাদ কাশ্মীরের গিলগিট ও বাল্টিস্তান প্রদেশে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে নাখোশ ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। যতদিন পর্যন্ত নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে শাসনকার্য পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে, ভারত নিজেই তাদের অধিকৃত জম্বু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে এনেছে। অর্থাৎ, সেখানকার জনগণের নির্বাচনের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সেখানে বিরুদ্ধমত ঠেকাতে কঠোর অবরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করায় দেশে বিদেশে তীব্র সমালোচিত হয়েছে ভারত সরকার। তারা আজাদ কাশ্মীরকেও নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। পাকিস্তানের এ নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারত সরকারের দাবি, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে গিলগিট ও বাল্টিস্তান জবরদখল করে রেখেছে পাকিস্তান। তাই সেখানে কোনওরকম প্রশাসনিক পরিবর্তন ঘটানোর অধিকার নেই পাক সরকারের। ইমরান খান সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত বৃহস্পতিবার গিলগিট ও বাল্টিস্তানের প্রশাসনিক কাঠামো সংক্রান্ত ২০১৮ সালের আইনে সংশোধন ঘটায় পাক সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে বিষয়টি প্রকাশ হতেই তীব্র আপত্তি জানায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। দিল্লিতে এক অভিজ্ঞ পাক কূটনীতিকের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের সমগ্র এলাকা, যার মধ্যে গিলগিট-বাল্টিস্তানও পড়ে, তা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেআইনি ভাবে গিলগিট-বাল্টিস্তান জবরদখল করে রেখেছে পাকিস্তান। তাই সেখানে প্রশাসনিক বদল ঘটানো পাক কোর্টের এক্তিয়ারের মধ্যেই পড়ে না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘জম্মু-কাশ্মীরের যে বিস্তীর্ণ এলাকা পাকিস্তান বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে, সেখানে কোনওরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং পরিবর্তন বরদাস্ত করা হবে না। বরং ওই সমস্ত এলাকা অবিলম্বে খালি করে দেয়া উচিত পাকিস্তানের।’ তারা আরও জানায়, ‘জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের যে বিস্তীর্ণ এলাকা পাকিস্তান জবরদখল করে রেখেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে তা ঢাকা দেয়া যাবে না। গত সাত দশক ধরে সেখানকার মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান। তাদের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। চালানো হয়েছে শোষণ। এর কোনও কিছুই লুকিয়ে রাখা যাবে না।’ টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।