মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একটি ছোট ব্রিটিশ সংস্থা এসপিরিনের মতো এক ধরণের পিল তৈরি করেছে। তাদের দাবি, প্রতিদিন এই পিল একটি করে খেলে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া যাবে। তাদের এই দাবি সত্যি হলে প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে তারা বিশ্বের ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের পরাস্ত করতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার বিজ্ঞানী করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে লড়াই চালাচ্ছেন। তবে ব্রিটিশ-নরওয়েজিয়ান সংস্থা বারজেনবায়োর বিশেষজ্ঞদের দাবি, তারা আসল ওষুধ খুঁজে পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীসংখ্যা মাত্র ৩৮ জন। তাদের ‘বেমসেন্টিনিব’ ওষুধ যেটি মূলত ক্যান্সারের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো, সেটি করোনভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে এবং দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিভাইরাল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে। জরুরি ভিত্তিতে এনএইচএস হাসপাতালের রোগীদের উপরে পরীক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১২ টি ড্রাগের মধ্যে বেমসেন্টিনিব অন্যতম।
এ বিষয়ে বারজেনবায়োর প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গডফ্রে জানান, তিনি ‘চরম আশাবাদী’ যে বড়িটি সবার জীবন বাঁচিয়ে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটির কাজ করার এবং রোগীদের উপকারে আসার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি জানান, এই ওষুধটি ৩ শতাধিক ক্যান্সার রোগীর উপর পরীক্ষা করা হয়েছে, এর সুরক্ষার ভাল রেকর্ড রয়েছে এবং সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব।
মার্কিন ওষুধ সংস্থা গিলিয়েড যখন গত সপ্তাহে ঘোষণা করে যে, তাদের অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার ওষুধ রিমডেসিভির প্রয়োগে রোগীরা চার দিনের মধ্যেই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোর সূচক বেড়ে যায়। তবে মৃত্যু হারের কারণে এই ওষুধ আসলেই কাজ করছে কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। এই ড্রাগ ব্যবহার করা রোগিদের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার ৮ শতাংশ। বিপরীতে যাদের উপরে এই ড্রাগ ব্যবহার করা হয়নি, তাদের মধ্যে মৃত্যু হার ১১ শতাংশ। মৃত্যু হারে যথেষ্ট পার্থক্য না থাকায় এটির কোন প্রভাব রয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান।
বেমসেন্টিনিব ‘এএক্সএল’ নামের প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি প্রোটিন কোষগুলোকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। দেহের নিজস্ব অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ইন্টারফেরনের উৎপাদন বন্ধ করা থেকেও ভাইরাসকে প্রতিহত করে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সাউদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে ১২০ জন কোভিড-১৯ রোগীর উপরে প্রথমবারের মতো এই ড্রাগ পরীক্ষা করা হবে। জুনের শেষে ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।