Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খুলছে দোকানপাট বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ১২:৪৪ পিএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন চলছে। সরকার সাধারণ ছুটি দফায় দফায় বৃদ্ধি করেছে। এই লকডাউনে সময় বাজারে ওষুধের দোকান এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলার অনুমতি রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অন্যান্য পণ্যের দোকানপাটও এবার খুলছে। এর ফলে পাড়া মহল্লার অলিগলি এবং হাট-বাজারে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। বেশিরভাগ বাজারে অনেক ক্রেতা কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব (ন্যূনতম ৩ ফুট) মানছেন না। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
রাজধানীর খিলগাও রেলগেইট বাজার ও আশপাশের রাস্তায় তরিতরকারি ও ফলমূলের দোকান খোলা রয়েছে। খিলগাও রেল গেইট বাজারে ঢোকার রাস্তা এবং ভিতরের গলিগুলো খুবই সরু। পাশাপাশি দুজন গেলে গায়ে গা লেগে যায়। এ অবস্থায় বাজারের ভিতরে মুদি দোকান ছাড়াও অন্যান্য দোকান খোলা হয়েছে। কাপড়েরর দোকানও খোলা আছে। বাজারের ভিতরে ক্রেতাদের ভিড়। গা-ঘেষাঘেষি করে তারা বাজার করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বালাই নেই।
মালিবাগ-রামপুরা বিশ্বরোডের পাশের বিভিন্ন দোকানও খোলা হয়েছে। রোডেন দু’পাশে বিভিন্ন গাড়ির ওয়ার্কশপ, মোটরসাইকেল ও গাড়ির যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, চশমা, হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও পোশাকের দোকানসহ নানা পণ্যের কিছু দোকান খুলে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। দু-একদিন ধরে এসব দোকান খুলতে শুরু করেছেন দোকানিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবার অর্ধেক খুলে বসে ছিলেন। শনিবার পুরোপুরি খুলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি টহল দিলেও কিছু বলছে না। এ কারণে সাহস নিয়ে অনেকেই পুরোপুরি খুলতে শুরু করেছেন।
এই সড়কের ইলেকট্রিক ও হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী মো. সালাম বলেন, আর কতদিন দোকান বন্ধ রেখে থাকা যায়। পেটের খাবার তো জোগাড় করতে হবে। না খেয়ে মরে যাওয়ার চেয়ে লড়াই করে যাওয়া অনেক ভালো।
রামপুরা এলাকায় জুতা, কাপড় ও প্রসাধনীর দোকান খোলা হয়েছে। দোকানিদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, দোকানের মালপত্র কী অবস্থায় আছে, তা দেখার জন্য এবং বন্ধ দোকানে আলো-বাতাস প্রবেশ করানোর জন্য খুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও দু-একটি করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মালিকরা দোকান খোলার চেষ্টা করছেন।
সরকারের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক সমিতি দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ১ মে থেকে দোকান খোলার আবেদন করে দোকান মালিক সমিতি। কিন্তু এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খুললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ