গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকায় একের পর এক এলাকা সংক্রমিত হলেও, নিয়ম মানার প্রবণতা নেই কোথাও। কাঁচাবাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, অলিগলিতে আড্ডা, রাস্তায় অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করা মানুষেরও কমতি নেই। প্রধান সড়কের চিত্র ভিন্ন। সেখানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে।
রাজধানীর অভিজাত ধানম-ি এলাকায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলেও মোড়ে মোড়ে যানবাহন আর মানুষের জটলা চোখে পড়েছে। বাজারে রয়েছে ভিড়ও।
অঘোষিত লকডাউনে থাকা ঢাকার ধানম-ি এলাকায় রাস্তার মোড়ে যাত্রীর আশায় বসে থাকতে দেখা গেছে, রাইড শেয়ারিং অ্যাপের চালককে। সেই গ্লাভস বা মাস্ক ব্যবহারের বালাই। কয়েকজনের কাছে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের করোনা নাই। পেটে তো মানে না তাই বের হতে হচ্ছে।
শঙ্করের একটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষিত হয়েছে এক মাস আগে। যদিও পাশের দুটি সড়ক দিয়ে অবাধে যাতায়াত করছে মানুষ।
যাত্রাবাড়ীর পাইকারী বাজারে ভোর থেকে উপচে পড়া ভিড়। তখন বাজার চলে আসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটা অংশের উপরেই। শনিরআখড়ার বাজারে চোখে পড়েছে ভিড়। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনা থাকলে কি হবে। পেটে তো খেতে হবে। বসে থাকলে খাবার তো জুটবে না।
শনিরআখড়া বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো তৎপরতা কখনো দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দনিয়া গোয়ালবাড়ী মোড়ের রাস্তায় অযথাই ঘোরাঘুরি করে শত শত মানুষ। অনেকে আবার গলির মুখে বসে বসে আড্ডাও দেয়। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন বাসিন্দাদের উদ্বেগের শেষ নেই। তাদের কথা, আমরা ঘরবন্দি থেকে লাভ কি হলো? এই সব মানুষতো ইচ্ছে করে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। এলাকাকে দূষিত করে ফেলছে। পুলিশ এদেরকে কিছুই বলে না। অনেকের মতে, এমন চললে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে। তারা বলেন, কেউ মানে কেউ মানে না। বলে মরলে এমনি মরবো। তোমার কথা মানবো কেন।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত শুধু রাজধানীতেই আক্রান্ত এলাকার সংখ্যা ছিলো ১৭০ টি। আক্রান্ত মানুষ প্রায় চার হাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।