গাজীপুরে এক হত দরিদ্র পিতা মাতা তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল প্ররিশোধ করেছেন। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের নিজ উদদ্যোগে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায়।
শুকবার (১মে) রাতে এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো পুলিশের এডিসি (ক্রাইম) তার ফ্রেসবুকে বিস্তারিত উল্লেখ করে বলেছেন যে, গত ২১ এপ্রিল কেয়া খাতুন নামে এক মহিলা তার জরুরী অবস্হা নিয়ে কোনাবাড়ী সেন্ট্রাল মেডিকেল হাসপাতালে ভতি হন। ওই দিনই কেয়া খাতুন সিজারের মাধ্যমে ফুটফটে এক ছেলে সন্তানের জম্ম দেন।
১১ দিন ওই হাসপাতালে থাকা অবস্হায় হাসপাতালের বিল আসে ৪৭ হাজার টাকা। কেয়া খাতুন ও তার স্বামী চরম দারিদ্রতার কারনে বিল দিতে না পারায় তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে অন্যের নিকট পচিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন। পরে নারী ছেড়া বুকের ধন না নিয়ে শুকবার (১মে)
তাদের বাড়ী কাশিমপুরের এনায়েতপুরে চলে যান।
বিষয়টি পুলিশের এক এডিশনাল আইজি (এসবি) জানতে পেরে গাজীপুর মহানগর মেট্রোপুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে গিয়ে নিজ উদদ্যোগে বিল পরিশোধ করেন এবং বিক্রি করে দেয়া নবজাতক ছেলেটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। ওই এলাকার একাধিক সুএ জানায়, নবজাতক ছেলে সন্তান বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ এবং পরে পুলিশের সহযোগিতায় মা বাবা তাদের নবজাতক ছেলে সন্তান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেমন আলোচনার চলছে তেমনি পুলিশের এমন মানবতার কাজ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।