পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুরে এক হতদরিদ্র দম্পতি তাদের নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ উদ্যোগি হয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায়।
শুকবার রাতে এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো পুলিশের এডিসি (ক্রাইম) তার ফেসবুকে বিস্তারিত উল্লেখ করে এক স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি বলেছেন, গত ২১ এপ্রিল কেয়া খাতুন নামে এক মহিলা তার জরুরি অবস্থা নিয়ে কোনাবাড়ী সেন্ট্রাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই কেয়া খাতুন সিজারের মাধ্যমে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জম্ম দেন। ১১ দিন ওই হাসপাতালে থাকা অবস্থায় হাসপাতালের বিল আসে ৪৭ হাজার টাকা। কেয়া খাতুন ও তার স্বামী চরম দরিদ্রতার কারনে বিল দিতে না পারায় তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে অন্যের নিকট পঁচিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন। পরে নারী ছেঁড়া বুকের ধন না নিয়ে শুক্রবার তাদের বাড়ি কাশিমপুরের এনায়েতপুরে চলে যান।
বিষয়টি পুলিশের এক এডিশনাল আইজি (এসবি) জানতে পেরে গাজীপুর মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে নিজ উদ্যোগে বিল পরিশোধ করেন এবং বিক্রি করে দেয়া নবজাতককে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। তবে হতদরিদ্র জেনেও বিল পরিশোধে চাপ প্রয়োগ কিংবা নবজাতক বিক্রির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবগত ছিল কি না এ বিষয়ে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি।
ওই এলাকার একাধিক সূএ জানায়, নবজাতক সন্তান বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ এবং পরে পুলিশের সহযোগিতায় মা বাবা তাদের সন্তান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেমন আলোচনা-সমালোচনা চলছে তেমনি পুলিশের এমন মানবতার কাজ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।