Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিশেহারা কক্সবাজারের কৃষক

বোরো ধানে মড়ক

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২০, ১২:০৬ এএম

লকডাউনে শ্রমিক সঙ্কটে পাকাধান গোলায় তুলতে পারছেন না কৃষক। এর ওপর চলতি বোরো মওসুমে বিআর-২৮ ধানের চাষ করে কক্সবাজারে অন্তত কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন শত শত কৃষক। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের যখাযথ তদারকি না থাকা ও আবাহাওয়ার সাথে মানানসই না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। এখন ধান কাটার ভর মৌসুম। দীর্ঘ লকডাউনে মানুষ কর্মহীন হলেও ধান কাটতে আগ্রহী না। চলমান বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টি হলে ধান তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে দিশেহারা কৃষক।

জানা যায়, কক্সবাজার কৃষি বিভাগের পরামর্শে চলতি বোরো মওসুমে শ’ শ’ কৃষক বিআর-২৮ ধান চাষ করেন। অধিক ফলন ও কম সময়ে ধান পাওয়ার কথা বলায় কৃষকরাও উক্ত জাতের ধান চাষে ধাবিত হয়। এই জাতের বীজের ফলন নিয়ে পরীক্ষামূলক কোন গবেষণা না করে বীজ বিক্রেতাদের যোগসাজসে সরাসরি কৃষকের মাঝে বীজ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কৃষক। পাকাধান ঘরে তুলার আগেই জমিতে পোকার আক্রমনের এ দৃশ্য দেখে আশায় বুকবাঁধা কৃষকেরা বলছেন এ যেন তাদের কাছে ‘করোনালকডাউনে মরার উপর খাড়ার ঘা’।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর, উখিয়া, রামু, চকরিয়া ও পেকুয়ায় বিস্তীর্ণ ফসল মাঠে এই রোগে ফসল নষ্ট হয়েছে প্রচুর। কক্সবাজার সদর উপজেলার কাওয়ার পাড়ার মৃত আজম উল্লাহ সিকদারের পুত্র কৃষক আবু ছৈয়দ ও মৃত মো. ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মুহিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে গত বছর ডিসেম্বরে তারা ৩ কানি জমির জন্য ১ হাজার ১৪০ টাকা দিয়ে ৩ বস্তা বীজ ধান বিআর-২৮ ক্রয় করেন। এই বীজ তারা সংগ্রহ করেন শহরের আলীর জাহালস্থ কৃষি বিভাগের গুদাম থেকে। একইভাবে উখিয়ার গয়ালমারা গ্রামের কৃষক জমির আহমদ জানান, তিনি ২ কানি জমি চাষ করেছেন। ভাল ফলনও হয়েছিল এখন সবই শেষ হয়েগেল। এটি তার মাথায় যেন বাজ পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে উখিয়ার রত্মপালং ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা মোসতাক আহমদ জানান, বতর্মানে ৫৫, ৫৮, ৬২, ৬৩, ৬৭ বিড়ি ধান পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় নিরাপদ ফলন হচ্ছে। রত্মাপালং ইউনিয়নের ৩ ব্লকে বর্তমানে ৮৫০ হেক্টও জমিতে আবাদ হয়েছে। ৩-৪ হেক্টরের কাছাকাছি জমিতে ২৮ নং বিড়ি ধান যা পরিবেশ বান্ধব নয় চাষ করেছেন কৃষকরা। ওই ফসলে মড়ক লেগেছে যা দুঃখ জনক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন

৭ এপ্রিল, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ