Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লকডাউন শিথিল হওয়ায় সউদী মলগুলোতে ভিড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৩৮ পিএম

লকডাউন শিথিল হওয়ায় বুধবার থেকে সউদী আরবের শপিংমল এবং উন্মুক্ত বাজারগুলোতে সাধারণ নাগরিকদের ভিড় করতে দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে শুরু করেছে দেশটির সরকার। যার ফলে আস্তে আস্তে সাধারণ জীবনে ফিরে যাচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা।

তবে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল হলেও সাবধানতা পালন করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল রিয়াদের শপিং মলগুলো অল্প সংখ্যক মানুষকে একবারে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা ক্রেতাদের প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। গৃহ সাজানোর সামগ্রী, প্রসাধনী এবং পোশাকের দোকানগুলোতে স্যানিটাইজারের তীব্র গন্ধ পাওয়া যায়। বিশেষত পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার কারণে মার্চ মাসের শেষের দিকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসার প্রক্রিয়াটির স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।

বাদশাহ সালমানের নির্দেশে গত বুধবার থেকে ছোট বড় দোকান, শপিং মল খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ এই সমস্ত ক্ষেত্রেই শর্ত একটাই যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব অনুশীলনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

হায়াত মলে এ ক্রেতা ২২ বছর বয়সী ফয়সাল আল-কানাস জানান, ‘পুনরায় চালুকরণ একটি সীমিত উপায়ে করা হচ্ছে, এটি খুব ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে যাতে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনতে পারি।’ সউদীতে অনলাইনে কেনাকাটা এখনও মোটামুটি নতুন হওয়ায়, মলগুলোর জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রয়েছে। বিশেষত ৩০ বছরের কম বয়সীদের কাছে, যারা ৩ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ। বুধবার মলে যাওয়া বেশিরভাগ ক্রেতাই যুবতী ছিলেন। মল ঘুরতে যাওয়া ১৯ বছর বয়সী নওজোদ আলশামারী বলেন, ‘তারা সাবধানতা অবলম্বন করেছে - গ্লাভস আছে, মাস্ক রয়েছে। তারা নিশ্চিত করছে যে লোকেরা একে অপরের মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখেছে।’

রিয়াদের দক্ষিণ বাথার আশেপাশে, যেখানে অনেক স্বল্প আয়ের বিদেশী কর্মী বাস করেন এবং কাজ করেন, সেখানকার দোকান এবং খোলা মার্কেটে লোকের ভিড় দেখা যায়। বেশিরভাগই মাস্ক বা গ্লাভস পরা ছিলেন। বিক্রেতারা গ্রাহকদের ফিরে আসার জন্য আগ্রহী ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানের ফল ও সবজি বিক্রেতা খোরশিদ বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি গত কয়েক সপ্তাহ বসে থাকার পরে আমি আজ কিছুটা উপার্জন করতে পারব। আমার বেশিরভাগ সঞ্চয়ই শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি রাস্তার পাশের একটি ছোট গাড়ি থেকে বড় সুপারমার্কেটের অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রি করছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি যতটা সম্ভব বিক্রি করতে চাই। আমি গত দুই মাস ধরে আমার স্ত্রী ও বাচ্চাদের কাছে কোনও টাকা পাঠাইনি।’ সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ