Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিটামিন ‘সি’র যোগানে কাঁচা আমের জুড়ি নেই

রেজাউল করিম রাজু | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫১ পিএম

মহামারী করোনা থেকে রক্ষার জন্য বলা হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা। এক্ষেত্রে বেশি বেশি করে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার কমলা লেবু, মাল্টা, লেবু গ্রহণের প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে। কমলা লেবু মাল্টা এসব ফল বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়। এখন তাও বন্ধ। ভরসা কাগজী, এলাচি ও সুগন্ধযুক্ত চায়না লেবু। আর ভিটামিন ‘সি’ ট্যাবলেট।
করোনার কারণে লেবুর চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে দাম বাড়ে। আর বাগান মালিকরা এসব লেবু পরিপুষ্ট হবার আগে কম রসবিহিন বাজারে টেনে আনে। লেবু আগাম বাজারে বেশি চলে আসায় এখন বাগান প্রায় ফাঁকা। লেবুর সরবরাহ কমেছে। ফলে দামও বেড়েছে। দশটাকা হালির লেবু এখন চল্লিশ পঞ্চাশ টাকা। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ সময় ভিটামিন ‘সি’র অভাব পূরন করতে পারে কাঁচা আম। উদ্ভিদতত্বে আম মিষ্ট ও টক স্বাদের সংমিশ্রনে যুক্ত রসালো ফল। খাদ্যমানের দিক দিয়ে আমের কোন জুড়ি নেই। আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, সি, স্বেচ্ছা আমিষ, খনিজ পদার্থ এ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এ্যাসিডসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।
কাঁচা আম হয় টক। যাতে ভিটামিন সি বেশি থাকে। এখন দেশজুড়ে বাগানে বাগানে শোভা পাচ্ছে কাঁচা আম। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন টুপটাপ করে বাগানগুলোয় ঝরে পড়ছে আম। সেই গুটি অবস্থা থেকে ঝরা শুরু হয়। প্রবাদ রয়েছে ‘আমের আনা। মাছের পাই। থাকলে কে কত খাই।’ অর্থাৎ আম গাছে যত মুকুল আসে তার যদি এক আনা থাকে তাতেই অনেক। আর মাছ যে ডিম ছাড়ে তার আনা পরিমান থাকলে অনেক।
বিশিষ্ট আম গবেষক ড. শরফ উদ্দিন বলেন, দেশের আম বাগানগুলোয় প্রতিদিন হাজার মে.টন আম ঝরে পড়ে। এসব কাঁচা আম রসনা মেটায় আম রসিকদের। তাছাড়া একশো গ্রাম কাঁচা আমে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে চল্লিশ থেকে সত্তর মি.গ্রাম। বেশি টক আমে ভিটামিন ‘সি’ বেশি।
এখন সারা দেশে লকডাউনের কারণে ঝরে পড়া আম বাজারজাত করা যাচ্ছে না। আম চাষিরা এক্ষেত্রে পড়েছে লোকসানের মুখে। এখন আম বাগানে চার পাঁচ টাকা কেজি এসব আম নেবার ক্রেতা নেই। অথচ এখন শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটাতে এসব কাঁচা আম ভাল ভ‚মিকা রাখতে পারে।
বিশিষ্ট আম গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, শুধু ফলের রাজা আম নয় গাছের পাতা, বাকল, শিকড়, ফলের আটি প্রাচীনকাল থেকে আয়ুবেদী ও ইউনানী চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এর গাছের ভূমিকাও অনেক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ