Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের কিট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় অর্ডার বাতিল করল ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ২:১৩ পিএম

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য চীনের কাছ থেকে কিট কেনার অর্ডার দিয়েছিল ভারত। করোনা পরীক্ষার এসব কিট ত্রুটিপূর্ণ ও কাজের অযোগ্য বলে সেই অর্ডারই বাতিল করে দিয়েছে দেশটি।  
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ওই কিটকে ত্রুটিপূর্ণ ঘোষণা করার পরই অর্ডার বাতিল করা হয়। এদিকে কিট কেনার টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। তাই এ বাবদ একটি টাকাও চীনকে দিয়ে অপচয়ে রাজি নয় ভারত। অবশ্য ভারতের দাবি নাকচ করেছে চীন। খবর বিবিসি ও এনডিটিভির
করোনার পরীক্ষায় নিয়মিত আরটি পিসিআর কিটে পরীক্ষা ধীরগতির হওয়ায় ফাস্ট ট্র্যাক কিট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েই চীনের কাছে ৫ লাখ কিটের অর্ডার দিয়েছিল ভারত সরকার। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানায়, এই র‌্যাপিড টেস্ট কিট অধিক কার্যকরী, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যাবে, কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা। তাছাড়া দামেও কিছুটা সস্তা। চীনের গুয়াংঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুয়াই লিভজোন ডায়াগোনস্টিকের তৈরি এসব কিটের আমদানিকারক ভারতের আমদানি সংস্থা ম্যাট্রিক্স এবং ডিস্ট্রিবিউটর রিয়েল মেটাবলিস এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যাল। ম্যাট্রিক্স চীনা কিট এনেছে প্রতিটি ২৪৫ টাকা দরে।  আর ডিস্ট্রিবিউটর রিয়েল মেটাবলিস এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালের কাছ থেকে  সরকার সেগুলো কিনে নিচ্ছে ৬০০ টাকা দরে।
অর্ডার দেওয়া ৫ লাখ কিটের কিছু ইতিমধ্যে দেশে আসার পর রাজ্যে রাজ্যে তা ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে এরইমধ্যে কিটগুলো নিয়ে রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের মতো অনেক রাজ্য অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের দাবি, কিটগুলোর নির্ভুলতার হার মাত্র ৫.৪ শতাংশ। এগুলো আদৌ কার্যকরী নয়।
এমন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি সরকার কিছু কিট প্রত্যাহার করে নেয়। তাছাড়া সোমবার চীনা র‌্যাপিড কিট নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়। ডিস্ট্রিবিউটর এবং আমদানিকারকের মধ্যে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় তা গড়ায় দিল্লি হাইকোর্টে।  
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার আইসিএমআর ঘোষণা দিয়েছে, চীনা কিটের অর্ডার বাতিল করলো তারা। তাছাড়া রাজ্য ও হাসপাতালগুলোকে নতুন কিট ব্যবহার না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো শিপমেন্টই বাতিল করা হলো। আর এ নিয়ে একটি টাকাও অপচয় করতে রাজি নয় ভারত। যেহেতু কোনো অগ্রিম দেওয়া হয়নি।
এ দিকে চীনা দূতাবাস ভারতের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীন রপ্তানিযোগ্য মেডিকেল পণ্য তৈরিতে মানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়। কোনো বাছবিচার ছাড়াই কতিপয় ব্যক্তির পক্ষে চীনের পণ্যকে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যা দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও অযৌক্তিক। 



 

Show all comments
  • Nadim ahmed ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩৫ পিএম says : 0
    Bcoz Indians love their country and people. And, our politicians love to empty our treasury.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ