চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ছোটদের উপর রোজা রাখা ফরজ নয়।কিন্তু রমজান আসলে শিশু-কিশোরদের মাঝে দেখা যায় অন্যরকম এক উৎসাহ-উদ্দীপনা। ছোট ছোট শিশুরা আনন্দ-উৎসাহের মাধ্যমে ভোর রাতে সাহরি খায়। সারাদিন উপোস থেকে রোজা রাখে, যাতে রয়েছে উপকারিতা ও সাওয়াব।
ইফতারের সময় শিশুদের কলরব কার না ভালো লাগে। শিশুরাও ইফতার সাজানো এবং ইফতারের সময় মজা করে ইফতার খেতে পছন্দ সকরে। রোজা না রাখলেও তারা ইফতারের সময় রোজাদারদের মতো ইফতারের আনন্দ উপভোগ করে। চমৎকার একটি পরিবেশ বিরাজ করে প্রতিটি মুসলিম ঘরে।
অল্প বয়স থেকে রোজা রাখার চেষ্টা করার মাধ্যমে অভ্যাস গঠন করা অনেক বড় উপকার। আর যে কোনো ভালো কাজর চেষ্টায় রয়েছে জন্য উপকারিতা। এতে অভ্যাস গঠন হয়। বড় হলে রোজা পালনে তাদেরকে কোনো প্রতিবন্ধতার মুখোমুখি হতে হয় না। যাদের রোজা রাখা ফরজ নয়, তারা যদি রোজা রাখে তবে তাদের রোজা শুদ্ধ হবে এবং তারা রোজার ঘোষিত সব ফজিলত ও সাওয়াব পাবে। রোজা রাখা নাবালক শিশুরাই সাওয়াব পাবে না বরং ভালো কাজের অভ্যাস গঠনে নির্দেশ ও সহযোগিতা করার কারণে শিশুদের বাবা-মাদের জন্যও রয়েছে সাওয়াব।
সুতরাং প্রত্যেক শিশুর অভিভাবকদের উচিত, ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে যারা রোজা রাখতে সক্ষম কিন্তু ফরজ হয়নি তাদের রোজা রাখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ দেয় এবং রোজার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবাগণ নিজেদের নাবালক ছোট বাচ্চাদের রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। হাদিসে এসেছে- হজরত রুবাইয়ি বিনতে মুআওবিয রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার দিন সকালে মদিনার উপকন্ঠে বসবাসরত আনসারদের কাছে এ খবর পাঠালেন, যারা ফজরের আগে থেকে রোজা রেখেছে, তারা যেন তাদের রোজা পূর্ণ করে। আর যারা রোজা না রাখা সত্বেও ফজর অতিক্রম করেছে, তারাও যেন বাকি দিন রোজা পালন করে।
সুতরাং আমরা তার পর থেকে রোজা রাখতাম এবং আমাদের ছোট ছোট শিশুদের রোজা রাখাতাম এবং তাদেরকে নিয়ে মসজিদে যেতাম। তাদের জন্য তুলা দ্বারা পুতুল বানাতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তাদেরকে সেই পুতুল দিতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।
শিশুদের ক্ষুধার কষ্ট দূর করা সম্পর্কে অন্য বর্ণনায় এসেছে- আমরা তাদেরকে সে খেলনা দিতাম, যাতে তারা (খাবারের কথা) ভুলে থাকে এবং খেলার মাঝে তাদের রোজা পূর্ণ করতে পারে।’ (মুসলিম)। সুতরাং ছোট বয়স থেকে রোজায় বাচ্ছাদের উদ্বুদ্ধ করা ইসলামে নীতি। আর তাতে যেমন রয়েছে শিশুদের উপকারিতা ও সাওয়াব। তেমনি যারা তাদের রোজার প্রতি উৎসাহ যোগায় তাদের জন্যও রয়েছে সাওয়াব।
মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তিকে তাদের ছোট ছোট নাবালক কিংবা জ্ঞানবান শিশুদের রোজার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।