যুক্তরাষ্ট্রের আরো বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে
করোনাভাইরাসের কারণে আরোপ করা
লকডাউনের কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। যদিও সেখানকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন গ্রীষ্মেও সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ বিধি বজায় রাখার দরকার আছে। এ জন্য এসব অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা বলছেন,
লকডাউনের কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার মানে এই নয় যে এখনই পুরোপুরি আগের মতো সব স্বাভাবিক হচ্ছে। ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে, সে জন্য কিছু কিছু জায়গায় বিধিনিষেধ থাকবে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষ
করোনায় আক্রান্ত হন। তবে নিউইয়র্কে যেমন অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তা কমে এসেছে। গতকাল রোববার দেশটিতে ৯ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনায় মারা গেছে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি এসব তথ্য জানিয়েছে।
এমন অবস্থায় কড়াকড়ি তুলে নেওয়ায় ভাইরাস দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জর্জিয়া, ওকলাহোমা, আলাস্কা ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করতে দেওয়া হয়েছে। সামনের সপ্তাহে আরো শিথিলতা আনতে চায় এসব অঙ্গরাজ্য।
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর জারেড পোলিস জানিয়েছেন, আজ সোমবার থেকে পিকআপ ভ্যানগুলো চলতে পারবে। আর আগামী শুক্রবার থেকে সেলুন ও ট্যাটু পার্লারগুলোও খুলতে পারবে।
এদিকে, আজ সোমবার থেকে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া হবে। একই দিনে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের
লকডাউন শেষ হচ্ছে। মন্টানা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রোববার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গির্জা চালু করার অনুমতি দিয়েছেন। আর এখানে ৭ মে থেকে স্কুল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলবে।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান গভর্নরদের পরিচালিত আটটি অঙ্গরাজ্য আরাকানসাস, আইওয়া, নেব্রাস্কা, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহোমা, সাউথ ডাকোটা, উটাহ এবং ওয়েমিংয়ে ঘরে থাকার বাধ্যতামূলক
লকডাউনের আদেশই জারি করেনি।
মূলত কর্মহীন দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষের বিশেষ ভাতা দাবির মুখে এসব সিদ্ধান্ত আসছে।
করোনাভাইরাসের ফলে চলমান
লকডাউনে দেশটিতে কর্মহীনের সংখ্যা ১৬ শতাংশে গিয়ে দাড়িয়েছে। অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা
লকডাউন আরো কিছুদিন রাখতে চাইলেও কোনো কোনো শহরের মেয়র
লকডাউনের নীতিমালা শিথিল করতে নিজেদের মতো করে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩২২
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৫৫ হাজার ৪১৫ জন। আর সুস্থ হতে পেরেছে এক লাখ ১৮ হাজার ৭৮১ জন।