Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বোর্ডসভা ডেকেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

ইনকিলাবে খবর প্রচারের পর

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত¡ ব্যাংকগুলো অবশেষে পরিচালনা পরিষদের (বোর্ড) সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ব্যাংকগুলো তাদের বোর্ড সভার আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা বন্ধের মধ্যেই বোর্ড সভা করেছে সোনালী ব্যাংক। আগামীকাল মঙ্গলবার বোর্ড সভা করবে জনতা ব্যাংক, তবে রূপালী ব্যাংক সভা করবে বৃহষ্পতিবার।

যদিও ইতোমধ্যে রূপালী ব্যাংক গত পহেলা ও ১৬ এপ্রিল বোর্ডের অনুমতি স্বাপেক্ষে ঋণ গ্রহিতাদের বড় ধরণের ছাড় এবং ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের কিস্তি কর্তনের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দিয়েছে। আর এ সপ্তাহেই বোর্ড সভার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব আরেক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংক।

করোনাভাইরাসে টালমাটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি এগিয়ে আসছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান দুর্যোগে বেশি বিপাকে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। আমরা এ বছর কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

সূত্র মতে, করোনার দুর্যোগের সময় ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। দীর্ঘদিন বোর্ড সভা করেননি। চেয়ে থেকেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কি সার্কুলার দিচ্ছে তার দিকে। টাকা দেওয়া-নেওয়ার দাপ্তরিক কাজ বাদে কোন কার্যক্রমই ছিলনা ব্যাংকগুলোর। বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণেই সময় কাটিয়েছেন তারা। এতে দেশের অর্থনীতিতে এক ধরণের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাংকগুলোর ভূমিকায় অনেক ব্যবসায়ীও হতাশ ও ক্ষুদ্ধ।

দৈনিক ইনকিলাবে সম্প্রতি ‘দীর্ঘদিন নেই বোর্ডসভা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর সবাই নড়েচড়ে বসে। আর তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রায়ত্ত¡ ব্যাংকগুলো বোর্ড সভার উদ্যোগ নিয়েছে। যদি এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলো। তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে ব্যাংকখাতকে গতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশের অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ডের সাথে তাদের করণীয় ঠিক করছে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির চাকা একবারেই বন্ধ। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার সবই বাস্তবায়ন করবে ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে অনেক কাজ করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে আরও সচল হতে হবে।

জনতা ব্যাংকের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বোর্ড সভা করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বোর্ড সভা হয়নি। তবে কাজ বন্ধ নেই। এমনকি জরুরি কোন বিষয় হলে বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে এ সপ্তাহেই ভার্চুয়াল বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আপাতত আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে সীমিত পরিসরে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ