Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্বিতীয় বার করোনার সংক্রমণ হবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই -ডাব্লিউএইচও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৩:০৩ পিএম

একবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেই যে কেউ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, দ্বিতীয়বার সে আর এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।

ডাব্লিউএইচও’র বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ আমরা হাতে পাইনি, যার জোরে বলা যায় নোভেল করোনাভাইরাস দ্বিতীয়বার আক্রমণ করে না। তাই কোভিড-১৯ রোগী একবার সেরে উঠলেই যে নিরাপদ, অ্যান্টিবডি সুরক্ষিত, দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হবে না, এ কথা বলার মতো জায়গায় আমরা আসিনি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই অ্যান্টিবডিকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’র প্রশংসাপত্র দেয়া যাবে।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশই জানিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস অদ্ভূত আচরণ করছে। সেরে ওঠা রোগী দিন কয়েকের মধ্যে ফের পজিটিভ হচ্ছে, এমনটা অনেকেই জানিয়েছেন। ভারতেও এমন কয়েকটি কেস পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে, করোনাভাইরাস নিয়ে রহস্যের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে।

সাধারণত ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ একবার হলে, দ্বিতীয়বার আর হয় না। কারণ, শরীরে প্রথমবার সংক্রমণে যে অ্যান্টবডি তৈরি হয়, তা দ্বিতীয়বার সংক্রমণে বাধা দেয়। এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই প্লাজমা থেরাপি। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমা থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে, তা আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো হয়। তাতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। অ্যান্টিবডি গিয়ে ভাইরাসকে ধ্বংস করে।

যার উপর ভিত্তি করে ইরান প্রায় একমাস ধরে প্লাজমা থেরাপি করছে। দিল্লি-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যেও প্লাজমা থেরাপির সুফল মিলছে বলে শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে হু-র এই বক্তব্যে শতাব্দীপ্রাচীন এই থেরাপির সাফল্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে।

এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ২ লাখ ছাড়িয়েছে। সংক্রামিত ২৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৪ জন। সেরে উঠেছেন ৮ লাখ ১৯ হাজার ৩১০ জন। মৃত্যুর নিরিখে আমেরিকাই এখনও শীর্ষে। ৫২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। ইতালিতে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২৬ হাজার। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ