Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত-পাকিস্তান শিথিল করছে লকডাউন

করোনার সুসংবাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ কমে আসায় লকডাউন তুলতে শুরু করেছে ইউরোপ। তবে ভারত ও পাকিস্তানে সংক্রমণ না কমলেও লকডাউন বহাল রেখেই কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
পাকিস্তানে ৯ মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া থাকলেও দেশটির সরকার গতকাল থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা মেনে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা শুরুর কথাও জানিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর বলেছেন, ‘আক্রান্ত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পৃথক করার মাধ্যমে আমরা যেমন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, তেমনি অর্থনীতিকে সচল করে লোকজনকে কাজে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারবো।’ রমজান মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উপরই সরকারের পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলেও জানান করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পাকিস্তানের নেয়া পদক্ষেপসম‚হ দেখভাল করা এ মন্ত্রী। দেশটির কর্তৃপক্ষ রমজান উপলক্ষে সিন্ধু প্রদেশ ছাড়া বাকি সব এলাকার মসজিদগুলোও খুলে দিয়েছে।

সিন্ধুতে কোভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, চিকিৎসকদের এ সতর্কতার পর সেখানকার মসজিদগুলোর ওপর বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ১১ হাজার ৯৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াইশ।

এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল থেকে আবাসিক এলাকায় ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সংক্রমণের হটস্পট বলে বিবেচিত এলাকাগুলো এ নির্দেশের বাইরে থাকবে। মদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন বেশিরভাগ জিনিসের বিক্রি আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, কেবল আবাসিক এলাকাই নয় শহর ও শহরাঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন বাজারের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শপিং মল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে। যেসব দোকানপাট খোলা যাবে, সেখানে আগের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। কর্মীদেরকে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাও। ই-কমার্স সংস্থাগুলোও অত্যাবশকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে, বলা হয়েছে শুক্রবার রাতে দেয়া নির্দেশনায়।

ভারতে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫০৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৭৫ এ। দেশটিতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন দেয়া আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনাও চলছে। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Rajib Ahmed ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
    ভারত নামটা শুনালে বা দেখলেই চরম রাগ উঠে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shambhu Adhikary ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
    যতদূর জানি আগামী সোমবার ভারতের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কতটা লকডাউন শিথিল হবে অথবা আদৌ হবে কিনা! কিন্তু বাংলাদেশী মিডিয়া দেখছি পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন পত্র লিক করে দিয়েছে!
    Total Reply(0) Reply
  • A.R. Prottoy ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
    সব দেশ মূর্খ, শুধু বাংলাদেশ বিচক্ষণ, এদেশে লকডাউন আরও ৬ মাস দেয়া হউক,নিম্ন আয়ের মানুষের মৃত্যু হউক..
    Total Reply(0) Reply
  • Shohel Rana ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
    ভারতের মতো দেশে যখন সাধারণ লোকদের জন্য সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে,ঠিক সেই সময়েই বাংলার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারছে না,ক্রয় করতে পারছে না তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য।গরীবের চাল চেয়ারম্যান,মেম্বর,কমিশনার,বড় বড় নেতারা হজম করছে।চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের কাছে গেলেও কুকুরের মতো অবহেলা করছে,ক্ষূধার তারণায় ছোট্র শিশু কাঁদছে।মায়ের চোখের জলে এই সমস্যা আরো জটিলতর হচ্ছে।কে নেবে এই অসহায় কৃষক,অভাবী লোক,ক্ষুধার্থ মা বোন,রোগীদের দায়িত্ব??অর্থলোভী মজুদদার সাধারণ মানুষদের চুষে নিচ্ছে।এক দিকে ভাতের চাল নাই,অপর দিকে কাজ নাই।যদি চাল পায়,তবে নুন,তেল,তরকারী,হলুদ মরিচ থাকে না।আমি মনে করি,এই সমস্যার সমাধানে শেখ হাসিনার পরে যদি কেউ ভূমিকা রাখতে পারে,তারা হলো সেনা বাহিনী।পুলিশদিয়ে এই সমস্যা সমাধান অসম্ভভব।পুলিশ কেবল ঘুষ খেতে পারে,মানুষ তারাতে পারে,গরীবের কষ্ট বূঝতে পারে না।তাই,আসুন আমরা শেখ হাসিনার হাত ধরে,সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে,সবাই সচেতন হয়ে করোনা ভাইরাস,তথা এই মহামারী প্রতিরোধ করি,শেখ মুজিবের সুস্থ্য বাংলাদেশ গড়ি, , , এম.এ সোহেল রানা,হাঁসমারী,গুরুদাসপুর,নাটোর।
    Total Reply(0) Reply
  • Jibon Sathi ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
    আমাদের দেশেও লকডাউন একটু শিথিল করা হোক কারণ অনেক মানুষ আছে যারা বিপদে কোথাও গিয়ে আটকা পড়েছে.... এখন তারা না পারছে ফিরতে, না পারছে খেতে.. তাদের এখন মরা ছাড়া উপায় নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Mainul Quadery Sagar ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৮ এএম says : 0
    বাংলাদেশ হয়তো বেশিদিন কারখানা বা অফিস বন্ধ রাখতে পারবেনা | এজন্য জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে অন্তত যতদিন ভ্যাকসিন আবিষ্কার এ হয় | সোসাল ডিস্টেনসিঙ রেখে কাজ করা, সব জায়গায় হাত ধোবার ব্যবস্থা রাখা , মাস্ক পড়া এসব জীবন যাত্রার অংশ করে ফেলতে হবে |. সরকারের উচিত রাস্তাটি মোড়ে মোড়ে হাত ধোবার ব্যবস্থা করা পাশাপাশি ম্যাসিভ টেস্টিং করতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Mansur Ahmed ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৯ এএম says : 0
    আমাদের দেশেও লকডাউন একটু শিথিল করা হোক, কারণ অনেক মানুষ আছে যারা বিপদে কোথাও গিয়ে আটকা পড়েছে.... এখন তারা না পারছে ফিরতে, না পারছে খেতে.. তাদের এখন মরা ছাড়া উপায় নাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ