গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায়, দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৮ হাজার ৬৫৪টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ডিএনসিসি থেকে ৭ হাজার ২১টি, কাউন্সিলরদের উদ্যোগে ১ হাজার ৫৫টি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ১২৮টি এবং অন্যান্যের উদ্যোগে ৪৫০টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টির শুরু থেকেই কর্মহীন শ্রমজীবীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে ডিএনসিসি।
তাদের বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবণ, সাবান, শিশুখাদ্য। এসব ত্রাণ সামগ্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের আবাসস্থলে গিয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া নিম্নমধ্যবিত্ত ত্রাণ সামগ্রী প্রত্যাশীদের জন্য ডিএনসিসির নগরভবনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে দুইটি হটলাইন খোলা হয়। যারা হটলাইনে কল করে ত্রাণের জন্য আবেদন করেছেন যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আবাসস্থলে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। হটলাইনে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। হটলাইনে ত্রাণ সামগ্রীর জন্য কল করা ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর একটি গুগল ফরমে ইনপুট দেয়া হয়, যা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা গুগল চার্টে দেখতে পান।
যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে একজন ডেলিভারি পারসন হটলাইনে কল করা ব্যক্তির আবাসস্থলে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে গুগল ফরমে তা রিপোর্ট করেন। ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি গুগল অ্যাপের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের রিয়েল-টাইম মনিটর করেন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সফটওয়্যার অংশটুকু ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম প্রস্তুত করেন।
ডিএনসিসির কাউন্সিলররা ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। এসব ত্রাণ সামগ্রী তারা নিজ-নিজ ওয়ার্ডে বসবাসরত অসহায়, দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের আবাসস্থলে পৌঁছে দিচ্ছেন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় কে এলাকার ভোটার আর কে ভোটার নয় তা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রও দেখা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।