পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের শর্তে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে আদালতের সাধারণ ছুটি। তবে এ ছুটির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিচারকের সুবিধামতো সপ্তাহে যেকোনো ২ দিন জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ আদালতের কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর। রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে এ সার্কুলার জারি করা হয়। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বারসহ বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি এবং আইনজীবীদের সংস্থা যেকোনো আদলে সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ জানায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আপিল বিভাগের বিচারপতিগণের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার শর্তে সীমিত পরিসরে আদালতের কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ‘ইনকিলাব’কে জানান, সীমিত পরিসরে শর্ত সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এবং সপ্তাহে দুই দিন দেশের জেলা দায়রা জজ আদালত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সঙ্গে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিগণের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আদালত চালুর সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আগামি ৫ মে পর্যন্ত ছুটিও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
এদিকে রেজিস্ট্রার জেনারেল দফতর থেকে জারিকৃত সার্কুলারে বলা হয়, দেশব্যাপি করোনা ভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবেলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামি ৫ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সকল আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালিন সময়ে তার সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন (কারাগারে থাকা আসামির আবেদনসহ) শুনানির নিমিত্তে সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হলো।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্র্রেট দ্বারা ছুটিকালিন সময়ে তার/তাদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দুই দিন কঠোর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের জারিকৃত সার্কুলারের ধারাবাহিকতায় বলা হয়, যে সকল ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে কিংবা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেয়া হয়েছে কিংবা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, স্থিতাবস্থা,স্থগিতাদেশের আদেশ দেয়া হয়েছে সেসব মামলার আদেশের কার্যকরিতা আদালত নিয়মিতভাবে খোলার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে-মর্মে গণ্য হবে। সাধারণ ছুটিকালিন সময়ে উক্ত মামলা সমুহের বিষয়ে কোনো আবেদন শুনানি গ্রহণ করা হবে না।
একটি মামলার জামিন শুনানিতে কেবলমাত্র একজন আইনজীবী অংশ গ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ না হলে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গন এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে স্ব স্ব আইনজীবী সমিতির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরি কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনাক্রমে জেলা ও দায়রা জজ মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। জামিন শুনানিকালে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান কিংবা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে হাজির না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ এপ্রিল করোনা বিস্তার রোধকল্পে কোনো অবস্থাতেই সীমিত পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম চালু না রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।