সম্ভব হলে নিজ বাড়িতেই হাফেজ রেখে পবিত্র রমজান মাসে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে খতম তারাবীহ্ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদাত বন্দেগী করুন। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনদের প্রতি উদার্ত আহ্বান জানিয়ে দেশের মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের একমাত্র পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, রমজান মাসে খতম তারাবীহ্, কিয়মুল লাইল নামাজ, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, দরুদ পাঠসহ রাত জেগে ইবাদতের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। বিগত বছরসমূহে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলামন ভাই ও বোনেরা রমজান মাসে মসজিদের গিয়ে রাতভর ইবাদতে মশগুল থাকতেন, যা এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিজগৃহেই ইবাদাতের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে আমাদের সকলেরই উচিৎ বেশীবেশী আল্লাহকে স্মরন করা ও তাঁর ইবাদাত করা। পবিত্র রমজান মাস আমাদের জন্য এমনই একটি সুযোগ। যে মাসে ইবাদাত বন্দেগী ও তাওবার মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্ববর্তী গুনাহ্সমূহ ক্ষমা পেয়ে চলমান বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতে পারি।
জমিয়াত নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশের হাজার হাজার করোআনে হাফেজ পবিত্র রমজানে তারাবীহ্ নামাজ পড়িয়ে যে সম্মানী পেতেন তা দিয়ে বছরের অন্যান্য মাসসমূহে খরচ করতেন। তাঁদের বাৎসরিক উপার্জনের সিংহভাগই রমজান মাস কেন্দ্রিক। যেহেতু এবছর দেশের কোন মসজিদেই তারাবীহ্ নামাজ হবেনা সেহেতু ঐসকল হাফেজ সাহেবদের সংসার পরিচালনায় অনেকটা বেগ পেতে হবে। মানবিক দিক বিবেচনায় কোরআনে হাফেজদের জন্য আর্থিক প্রনোদনা ঘোষণা করা অতিব জরুরী বলে আমরা মনে করি।