Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

করোনা ঝুঁকিতে পথশিশুরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১৪ পিএম

করোনাভাইরাসরে সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া মানা। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাই নিজেদেরকে ঘরবন্দি করে রাখলেও ছিন্নমূল পথশিশুরা এখনো পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘরহীন পথশিশুরা দল বেঁধে ঘুরছে, খেলছে। রেলস্টেশন, বাস টারমিনাল, ফ্লাইওভারের নিচে ফুটপাতে জটলা করছে, পাশাপাশি জড়াজড়ি হয়ে ঘুমাচ্ছে।
শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, এরা নিজেরা যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে, তেমনি এদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, তেজগাঁও রেলস্টেশন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, মহাখালি ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড, শাহজাহানপুর ফ্লাইওভার, রমনা পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে পথশিশুদের জটলা করে খেলতে কিংবা আড্ডা দিতে দেখা গেছে। সবকিছু বন্ধ বলে এদের নিয়মিত খাবারও জুটছে না।
পীরজঙ্গি মাজার থেকে কমলাপুরে যাওয়ার যে রাস্তা তার উপর জটলা করে আড্ডা দিচ্ছিল কয়েকজন। ওদের কারো কারো মুখে বা গলায় মাস্ক ঝুলানো রয়েছে, কারো কোন মাস্ক নেই। ওদের একজন সুমন। সে ৬নম্বর বাসের হেলপার। এখন বাসচলাচল বন্ধ তাই কোন কাজ নেই। এখানে থেকে বাস পাহারা দিতে হয়। করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলে, শুনছি করোনা রোগে কারণে সব বন্ধ কইরা দিছে। আমরা তো অহন না খাইয়া মরতাছি, কোনো কামকাজ নাই। আমরা অহন কই যাইয়াম।
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পথশিশুদের সংঘবদ্ধ চলাফেরা ও রাতযাপনের কারণে করোনাভাইরাসের বাহক হিসাবে খুব ঝুঁকির মধ্যে আছে এরা। সংক্রমণ ঠেকাতে এই পথশিশুদের নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ তাদের।
সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন বলেন, পথশিশুদের সংক্রমণের হার কম। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঝুঁকিতে আছে এরা। এরা ভাইরাসটির বাহক হিসেবে কাজ করতে পারে। কেননা এই সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। ফলে এদের মাধ্যমে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে। নিজেদের কমিউনিটিতে এরা ঝুঁকি তৈরি করবে। এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে, রাতের বেলা একসঙ্গে থাকে।
সরকারের বাজেটে পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম আছে। অন্তত মেগা সিটিগুলোতে যে শিশুরা আছে তাদের জন্য করোনায় বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক। পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও এনজিওগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।



 

Show all comments
  • jack ali ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ৯:০৭ পিএম says : 0
    If government failed to provide food and shelter street children then Top to Bottom government should live like street.. How hard is their heart. They live in place like building, eating nice food, sleeping on a comfortable bed.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ