দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে দক্ষিণাঞ্চলের পোল্ট্রি ও প্রাণী সম্পদ
বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৯ পিএম
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লাগাতর ছুটির প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সমৃদ্ধ প্রাণিসম্পদ খাত ভয়াবহ বিপর্যয়ের কবলে। গত প্রায় এক মাসে এ অঞ্চলে ডিমের দাম প্রায় ৩৫% হৃাস পাবার সাথে ব্রয়লার, সোনালী ও কক মুরগীর দর পতনেও খামারীরা চরম বিপর্যয়ের কবলে। পাশাপাশি চাহিদা হৃাস পাওয়ায় খামারীর গরুর দুধ নিয়েও চরম বিপাকে। পরিস্থিতি উত্তরনে কোন পথ জানা নেই কারো। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের অনেক বেসরকারী পোল্ট্রি ইতোমধ্যে বন্ধে মুখে। চাহিদা না থাকার সাথে দর পতনের কারনে নতুন করে কেউ আর বাচ্চা সংগ্রহ ও পালন করছেন না। ফলে আগামী দিন পনের পরে বাজারে সব ধরনের মুরগীর সংকট সৃষ্টিরও আশংকা করছেন ওয়াকিবাহাল মহল।
বিষয়টি নিয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কাউকে টেলিফোনে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে একাধীক খামারী ও বিক্রেতাদের দাবী গত ২৬ মার্চ থেকে লাগাতর সরকারী ছুটি শুরু হবার ফলে বাজারে ক্রেতার সংকট চলছে। পরিবহন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কারনেও বাজারে মুরগী আসছে কম। আবার সম্প্রতি সরকারীভাবে বরিশাল ও পটুয়াখালী সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় লক ডাউন ঘোষিত হওয়ায় ক্রেতারা বাজারেই আসছেন না। উপরন্তু বেশীলভাগ ক্রেতার হাতে টাকা না থাকায় তারা এখন কেনাকাটা করছেন যথেষ্ঠ হিসেব করেই।
ফলে পল্ট্রী শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বাজারে ব্রয়লার সহ অন্যান্য মুরগী থাকলেও ক্রেতা নেই। ফলে ইতোমধ্যে সব ধরনের মুরগীর দামও প্রায় ৩৫% হৃাস পেয়েছে। ১৬০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগী এখন ১১০টাকা। তার পরেও ক্রেতা নেই। স্থানীয় গাভীর দুধের লিটার ৮০ টাকা থেকে ইতোমধ্যে ৬০-৬৫ টাকায় হ্রাস পেয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণী সম্পদের হালনাগাদ তথ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী এ অঞ্চলে বছরে প্রায় ৫০ কোটি ডিম, দেড় লাখ টন দুধ এবং দেড় লাখ টন গোসত উৎপাদন হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চল গোসত উৎপাদনের সয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া দক্ষিঞ্চলের প্রায় ৬ হাজার বেসরকারী লেয়ার, ব্রয়লার ও হাঁসের খামারে প্রায় ২৫ লাখ হাঁস-মরগী পালন হয়ে থাকে। যার মধ্যে হাঁসের সংখ্যা প্রায় ১.৬০ লাখ।
তবে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের বকেয়া তথ্য মতে, বানিজ্যিক ও অব্যানিজ্যিক মিলেয়ে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ২২ লাখ গরু, ৩ লাখ মহিষ, সাড়ে ৬ লাখ ছাগল ছাড়াও প্রায় দেড় কোটি মুরগী এবং প্রায় ৪৮ লাখ হাঁস লালন পালন হচ্ছে।
কিন্তু চলমান জাতীয় ও বৈশি^ক স্বাস্থ্য ঝুকি এড়াতে চলমান স্থবিরতা সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের পোল্ট্রী ও প্রাণি সম্পদ সেক্টর ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে।
.jpg)
