পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় সকল ব্যাবসায়ী সুবিধা পেলেও বঞ্চিত তারা
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আর এজন্য অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারও বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। অর্থাৎ মার্চ এবং জুন- এ দুই প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ এক টাকাও আর বাড়বে না। তবে যারা ইতিমধ্যে ২ শতাংশ সুদে ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা নিয়েছেন তারা এ প্রণোদনার কোন সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এসব ঋণগ্রহীতারা এমনিতেই ঋণের ভারে নুহ্য, আবার করোনার থাবা পড়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানেও। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে রাখাটাই কষ্টকর। সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে তাদেরকে আরো কিছু সহযোগিতার জন্য দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করতে গত বছরের ১৬ মে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট বা এককালীন জমার বিপরীতে ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৯ শতাংশ। আবার ব্যাংক চাইলে পুনঃতফসিলের আগে গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধা দিতে পারবে। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশের ব্যবসাখাতে মন্দা ভাব দেখা যায়। এরই মধ্যে হঠাৎ করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ^ কেঁপে উঠে। প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতেও। এমন পরিস্থিতিতে দেশ একপ্রকার অচল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
আর দুদিন পর রমজান শুরু। এরপর ঈদ। এর আগে পহেলা বৈশাখেও এর একটি বড় প্রভাব পড়েছে। তাই ঈদের সময়ের ব্যবসা একেবারেই বন্ধ থাকার মতো অবস্থা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার সব ক্ষেত্রেই প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে। তবে এসব সুবিধা খেলাপিরা পাবেন না বলেও জানানো হয়েছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ সুবিধা পাওয়া খেলাপিরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আতাউর রহমান প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, তারা এমনিতেই সুবিধা পেয়েছেন। পাশাপাশি তারা নিয়মিতও হচ্ছেন না। তাই এ সুবিধায় তারা আসতে পারবেন না। একই সঙ্গে বর্তমানে দেশের এই দুর্যোগের সময়ে যাদের সুবিধা দেয়া হচ্ছে তারা রানিং ব্যবসায়ী। তাই এসব সুবিধার ক্ষেত্রে তারা অ্যাপ্লিকেবল না।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শামসুল ইসলাম বলেন, তারা এমনিতেই গ্রেস পিরিয়ডসহ সুবিধা পেয়েছেন। এখন কিন্তু তাদের সুদ দিতে হচ্ছে না। কেউ দেড় বছর সময় পেয়েছেন। কেউ ১০ বছর সময় পেয়েছেন। যিনি দেড় বছর সময় পেয়েছেন তিনি ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড পেয়েছেন। আর যিনি ১০ বছর সময় পেয়েছেন তিনি এক বছরে গ্রেস পিরিয়ড পেয়েছেন। সুতরাং তারা সুযোগ-সুবিধা আগেই পেয়েছেন। এখন তাদের সুদ দিতে হচ্ছে না, তাই আয় করারও দরকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।