সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের কাবিলপুর উত্তরপাড়া বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিজের দোকান আগুনে পুড়তে দেখে তা নেভাতে এসে মো. রাহাত (২৪) নামে এক যুবক মারা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পোরকরা ও কাবিলপুর গ্রামের মধ্যে বিরোধের জেরধরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাহাতের মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকলেও পুলিশ বলছে বিদ্যুস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল ভোর ৫টার দিকে এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। নিহত রাহাত পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার এলাকার জাওড়া গ্রামের মিঝি বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে। আটককৃতরা হলো, চাষীরহাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নূরুল হকের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩৮) ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাহারপার গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মেহরাব হোসেন ভুট্ট (৩৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ মাগরিবের নামাজের পর দক্ষিণ পোরকার গ্রামে রফিকুল ইসলাম সুমনসহ একদল যুবক কাবিলপুর উত্তরপাড়া গিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সুমন নামে এক যুবক আহত হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জের ধরে পোরকরা ও কাবিলপুর দুই গ্রামবাসীর মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ধারণা, গতকাল ভোরের কোন একসময় পোরকরা গ্রামের লোকজন কাবিলপুর উত্তরপাড়ায় এসে হাজী মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে একটি মুদি, একটি ফার্মেসি ও একটি ওয়ার্কসপ পুড়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে লোকজন ছুঁটে আসলে ঔষধ দোকানের মালিক রাহাতের লাশ বিদ্যুতের লাইন পেঁচানো অবস্থায় তার দোকান থেকে একটু দূরে পড়ে থাকতে দেখেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ বলেন, বাজারে আগুন জ্বলতে দেখে ঔষধ দোকানের মালিক দ্রæত আসতে গিয়ে ছেঁড়া বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে বিদ্যুস্পৃষ্টে মারা গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।