মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধর্মীয় নিয়মকানুনের বাইরে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় মুসলমানদের লাশ পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনাভাইরাসের লকডাউনের প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের কোণঠাসা করে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে দেশটির সরকার। আল-আরাবিয়াহর খবরে জানা গেছে, সিংহলিজ বৌদ্ধ সংখ্যালঘুদের ঐতিহ্য হচ্ছে শব-দাহ করা। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর পর লাশ কবর দিতে বলা হয়েছে ইসলামে। যারা করোনাভাইরাসে মারা যাচ্ছেন, তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা কিংবা কবর দেয়ার বিষয়টিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু গত ১১ এপ্রিল থেকে ভাইরাসে মারা যাওয়া সব ধর্মের লোকদের শবদাহ বাধ্যতাম‚লক ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। বিশ্বের এই একটি দেশেই কেবল এমন বিরল নীতি কার্যকর করা হচ্ছে। লাশ দাফনে নিষেধাজ্ঞা এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন দেশটি ইস্টার সানডে বোমা হামলার প্রথম বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ওই হামলায় ২৫৭ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন খ্রিষ্টান। ক্রাইসিস গ্রুপের শ্রীলংকান পরিচালক অ্যালান কিনান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো দেশই লাশ দাফনে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। অথচ দেশটির মুসলমানদের ওপর নোংরামি চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। দাফনে নিষেধাজ্ঞার পর এখন পর্যন্ত তিনজন মুসলমানের লাশ দাহ করা হয়েছে। এতে তাদের পরিবারগুলো মারাত্মক হতাশায় ডুবে গেছে। বাত্তিকালোয়া শহরের কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে ফায়াজ ইউনুস বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর তাকে দাহ করা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, ইস্টার সানডের বোমা হামলার বার্ষিকী সামনে রেখে মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজপাকসা পরিবার। লকডাউনের কারণে এপ্রিলের শেষ দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। প্রধানবিরোধী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির রাজনীতিবিদ মুজিবুর রহমান বলেন, কবর দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক পদক্ষেপ। পার্লামেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মুসলিমবিদ্বেষী ভোটারদের মন কাড়তে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দাফনে নিষেধাজ্ঞা শ্রীলংকার মুসলমানদের দ্বিগুণ আতঙ্কিত করে তুলছে। প্রথমত মহামারীতে তারা স্বজন হারাচ্ছেন, দ্বিতীয়ত তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লাশ পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করতে পারছেন না। আল-আরাবিয়াহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।