বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈশ্বরদীর চান্চল্যকর দিরাজ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যার সাথে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানাপুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের সড়ইকান্দি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে কামরুল হাসান কামির ড্রাইভার (৪০) জালাল উদ্দীন ব্যাপারীর ছেলে মফিজুল ইসলাম মিন্টু (৩৫) ও নিহত দিরাজের স্ত্রী হোসনে আরা (৩৬)।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম পিপিএম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার, এস আই সাইফুল ইসলাম সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মুলাডুলি চেকপোস্ট থেকে কামির ও মিন্টুকে এবং সুলতানপুর থেকে হোসনে আরাকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে যে, কামিল ও দিরাজের স্ত্রী হোসনেআরার সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকিয়া প্রেম চলছিল। দিরাজ এই পরকিয়ার বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাই পথের কাঁটা সরিয়ে দেয়ার জন্য হোসনেআরার প্ররোচনায় দিরাজকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে মোতাবেক গত ১৮ এপ্রিল সন্ধায় দিরাজকে মোবাইল করে আরআরপি মিলের কাছে ডেকে আনা হয়। পূর্ব পরিচয় ও সম্পর্ক থাকার কারণে দিরাজ সরল বিশ্বাসে তাদের কাছে আসে। কামিল, মিন্টু ও দিরাজ ট্রাকের ভেতর দীর্ঘক্ষন গল্পগুজব করে একটু রাত হলে গাঁজা সেবন করিয়ে সংগাহীন হলে দিরাজকে গলায় গাঁমছা পেঁচিয়ে কামিল ও মিন্টু শ্বাস রোধ করে হত্যা করে এবং গোয়ালবাতান গোরস্তানের পাশে জংগলে লাশ ফেলে আসে। ১৯ এপ্রিল পুলিশ দিরাজের লাশ উদ্ধার করে।
এব্যাপারে দিরাজের ভাই ইন্তাজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত ট্রাক (নং ঢাকা মেট্রো -ট -২২- ০৫৯৪) এবং মোবাইল উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।