মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আন্তর্জাতিক খাদ্য বাণিজ্যে একটি বিরাট ধাক্কা দেয়ার নতুন করে খাদ্য সংকট সৃষ্টির হুমকি দেখা দিয়েছে। সোমবার চীনের এক শীর্ষ কৃষি কর্মকর্তা এই হুশিয়ারি দিয়েছেন।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী কৃষি সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং বাণিজ্যকে বিঘ্নিত, কিছু দেশ তাদের প্রধান শস্যের রফতানি নিষিদ্ধ করায় এবং মজুতের জন্য শস্য ক্রয় বৃদ্ধি করায় এই সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের উপ-কৃষিমন্ত্রী ইউ কংঝেন। দেশের কৃষিক্ষেত্রের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এই মহামারী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক কৃষিজমি বাণিজ্য ও বাজারের উপর বিশাল অনিশ্চয়তা এনেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি মহামারীটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং বাড়তে থাকে তবে আন্তর্জাতিক খাদ্য বাণিজ্য এবং উৎপাদনের উপর অবশ্যই খারাপ প্রভাব পড়বে এবং নতুন দফায় খাদ্য সঙ্কটের সৃষ্টি হতে পারে। ইউ যোগ করেন যে, ‘কিছু দেশ দেশীয় সরবরাহ সুরক্ষার জন্য এবং মহামারী নিয়ন্ত্রণে তাদের গৃহীত ব্যবস্থাগুলোন কারণে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং দামের ক্ষেত্রেও বড় ওঠানামা হয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইনের ফলে
চীনের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়েছে এবং অনেক খামারের পক্ষে পর্যাপ্ত শ্রমিক জোগাড় করতে না পারায় বিশ্বের এই শীর্ষ মাংসের বাজারে পোল্ট্রি এবং মাংস উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।
ইউ জানান, চীনে দেশীয় চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত শস্য মজুদ থাকলেও বিশ্বব্যাপী মহামারি কারণে সয়াবিন এবং ভোজ্যতেলের মতো কিছু অন্যান্য আমদানিনির্ভর খাদ্য পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চীনের শস্য, শাকসবজি এবং চায়ের রফতানি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যদিও চীনে ঘরোয়া ভাইরাস সংক্রমণের গতি ধীর হয়েছে, কিন্তু দেশটিতে আগত বিদেশীদের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বহিরাগতদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও বিশাল এবং এটি পশুসম্পদ উৎপাদনে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করবে।’ এছাড়া যোগব্যবস্থা, খরা ও বন্যার ফলে এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।
একই সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে চীনের কৃষিমন্ত্রী হান চ্যাংফু দেশটিতে খাদ্য সঙ্কটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের শস্য ও অন্যান্য বড় বড় কৃষিপণ্যের সরবরাহ নিরাপদ করার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা রয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৫ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৩৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চীন মারাত্মক আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু নিয়েও লড়াই করছে, যা তার মাংসের উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। মার্চ থেকে নতুন ১৩ টি দেশে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু দেখা দেয়ার কথা জানা গেছে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।