Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্য হলো করোনার নিয়ে সেই মহিলা গবেষকের ভবিষ্যতবানী

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫০ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্নভাবে দাবী করেছে, চীনের ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। উহানের ভাইরাস গবেষণার ল্যাবরেটরিতেই উৎপাদন হয়েছিল এ ভাইরাসটি। বেইজিং তা অস্বীকার করে আসছে সব সময়ই। কিন্তু প্রায় এক বছর আগেই করোনা মহামারির আশঙ্কা করেছিলেন উহানের সেই ল্যাবরেটরির এক গবেষকই। উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির অন্যতম প্রধান গবেষক শি ঝেংলি এ আশংকার বানী তুলে ধরেছিলেন। ১১ মাস আগেই সতর্ক করেছিলেন তিনি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে মহামারীর আকার নিতে পারে এ ভাইরাসটি। শি ঝেংলি ও তাঁর গবেষক দল বাদুড় থেকে আসা এ ভাইরাসে গতি প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। বাদুড়ের এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য ‘ব্যাট ওম্যান’ হিসবেও পরিচিত তিনি। উহানের ওই ল্যাবেই চলছিল গবেষণা ।
জানা যায়, এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ৩দিনের মাথাতেই নতুন করোনা ভাইরাসের জিন নিয়ে তথ্য সামনে এনেছিলেন এই মহিলা গবেষক। কিন্তুতাঁকে চুপ করিয়ে রাখেন তাঁর উপদেষ্টারা। ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর শি ও আরও তিন গবেষক মিলে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। মার্চ মাসে সেই গবেষণা পত্র প্রকাশ্যে আসে। সেখানেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, সার্স, মার্স ও সোয়াইন অ্যাকিউট ডায়েরিয়া সিনড্রোমের পর ফের করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। ওই ৩টি রোগই হয়েছিল করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত, যা বাদুড় থেকে আসে। আর এর মধ্যে দুটিই চিন থেকে ছড়িয়ে ছিল। ওই গবেষক বলেছিলেন, ”সার্স কিংবা মার্সের মত করোনা ভাইরাস ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল, আর চিন থেকেই তা ছড়ানোর আশঙ্কা সব থেকে বেশি।” তিনি আরও বলেছিলেন যে, গোড়া থেকেই সতর্কতা নেওয়া হলে, সংক্রমণ কমানো যেতে পারে। ওই গবেষণাপত্রে স্পষ্ট লেখা ছিল, ”চীনারা তাজা মাংসেই সবে থকে বেশি পুষ্টি বলে মনে করেন। আর এই খাদ্যাভাসই সংক্রমণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বেজিং নিউজ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-তেই শি ও তাঁর গবেষক আবিষ্কার করে যে মানুষ বাদুড় থেকে সরাসরি সংক্রামিত হতে পারে। গত ফেব্রুয়ারিতে শি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই ল্যাবের। অর্থাৎ গবেষণাগার থেকে ছড়ায়নি ভাইরাস। চীনও ওই দাবি বারবার উড়িয়ে দিয়েছে। আমেরিকার দাবি, উহানের ওই ল্যাবরেটরি থেকেই লিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস। উহানের মাছের বাজারের সঙ্গে ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই মনে করছে বহু বিশেষজ্ঞ। আমেরিকা এই বিষয়ে রীতিমত তদন্ত শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, কীভাবে গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল তার নিখুঁত তদন্ত করবে আমেরিকা। চীনের ভাইরাস কালচার কালেকশনের কেন্দ্র এই গবেষণাগার। বলা যেতে পারে এটাই এশিয়ার বৃহত্তম ভাইরাস ব্যাংক। যেখানে ১৫০০ ধরনের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। এবোলার মত ভাইরাস নিয়েও গবেষণা করে ওরা।

সূত্রঃ কলকাতা টুয়েন্টি ফোর ও ডেইলি সান



 

Show all comments
  • Abu ২১ এপ্রিল, ২০২০, ৩:১৭ এএম says : 0
    Indian news papers always gave false news....just like their invented story. Don't believe them.
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৯ পিএম says : 0
    Indian news is 60% fake. Please don't believe this news.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ