পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের হাওর অঞ্চলের মাঠে মাঠে সোনালি ধান। কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা নিয়ে সঙ্কট। করোনার এ কঠিন সময়ে ক্ষেতের ফসল
কী ক্ষেতেই থেকে যাবে? এমন হলে তো দেশে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। ঠিক এই সময়ে ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
করোনায় কৃষি শ্রমিকের অভাবে হাওর অঞ্চলে নষ্ট হওয়ার উপক্রম বোরো ধান কাটতে চট্টগ্রাম থেকে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে ।
প্রথম দফায় রোববার পাঁচটি বাসে ১০০ শ্রমিক কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে মোট ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক চট্টগ্রাম থেকে হাওর অঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় হাওরগুলোতে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করবেন তারা ।
রোববার যাওয়ার আগে এসব শ্রমিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রত্যয়নপত্রও দেওয়া হয়েছে। তাদের যাওয়ার জন্য বাস ও সুরক্ষা সামগ্রীও ব্যবস্থা করেছে সিএমপি।
সিএমপি কর্মকর্তারা জানান , এখন ধান কাটার মৌসুম। ধান কাটতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা যেতে পারে । প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা হাওর অঞ্চলে ধান কাটতে যায়।
করোনার কারণে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে তাই চট্টগ্রাম থেকে চাইলেও শ্রমিকরা যেতে পারবেন না।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাকলিয়া এলাকায় বসবাস করা শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর যারা ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাদের তালিকা করে হাওর অঞ্চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এসব শ্রমিকদের যাতে ওই সব অঞ্চলে থাকা খাওয়ার সমস্যা না হয় সেজন্য জেলার এসপি ও থানার ওসিদের বলা হয়েছে। তারা শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
এই দুর্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া দিন এনে দিন খাওয়া এসব মানুষ পুলিশের সহায়তায় ধান কাটার জন্য যেতে পেরে দারুন খুশি। কারণ তাদের আয় রোজগারের সুযোগ হলো।
নদ-নদী আর হাওর বাওরে ধান আর নানা ফসলের সম্ভার । যথা সময়ে ধান ঘরে তুলতে না পারলে উজানের ঢলে তা বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রশাসনের অসতর্কতার কারণে উজানের বৃষ্টি-ঢলে বিনষ্ট হয়ে যায় হাওরের ফসল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।