যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারনে সবার মাঝেই মরণঘাতী এই রোগ থেকে কিভাবে বাঁচা যাবে? বাঁচলেও পরবর্তী সময় কেমন হবে। এমন অসংখ্য চিন্তা ঘিরে রেখেছে পরিবারকে। এর মধ্যে লকডাউনে ঘরের বাইরেও বের হতে মানা।
সারাদিন বাড়িতে থেকে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। বদলে গেছে প্রতিদিনকার রুটিনও। অনেকেই বাড়িতে থেকেই করছেন অফিসের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা থেকে ঘুম না এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য আর যাই হোক না কেন নিয়মিত ঘুম খুব জরুরি। ঘুম না হওয়ার সমাধান জেনে নিন।
রুটিন তৈরি করুন : যেহেতু জীবনযাপন আগের মতো নেই তাই নতুন একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস বাদ দিন। রাতে ঘুম পেলে সোজা বিছানায় গিয়ে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়–ন। আর ঘুমানোর আগে সকালে ওঠার সময় ঘড়িতে অ্যালার্ম দেবেন না। স্বাভাবিকভাবে ঘুমটা ভাঙতে দিন। এতে প্রথম ক’দিন আপনি একটু বেশি ঘুমাতে পারেন ঠিকই। কিন্তু শিগগিরই একটা ছন্দ চলে আসবে, তখন আর সমস্যা হবে না।
শোয়ার ঘরে বসে কাজ করবেন না : যদি সম্ভব হয়, কাজের সময় শোয়ার ঘরটা এড়িয়ে চলুন। বিছানায় নয়, চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করুন। ঘড়ি ধরে কাজ করুন যেমনটা অফিসে করেন। তাতে খানিকটা অফিসে বসে কাজ করার অনুভ‚তি আসবে।
দুপুরে ঘুম নয় : বাড়িতে থাকলে দুপুরের খাওয়ার পর একটু ঘুমাতে মন চাইতেই পারে। কিন্তু ভুলেও ঘুমোবেন না। আপনার অফিসের কাজ তো বটেই, এমনকী রাতের ঘুমও নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আগের রাতে যদি একদম ঘুম না হয়ে থাকে, তবে একটু চোখ বুজে নিতে পারেন। কোনোভাবেই তা যেন ১০-১৫ মিনিটের বেশি না হয়।
কফি কম খান : অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যার পর কফি খাবেন না। কফির নেশা থাকলে দিনের বেলায় খেতে পারেন। তবে দুই থেকে তিন কাপের বেশি নয়।
দুশ্চিন্তা নয় : আপনি যদি ক্রনিক অনিদ্রার রোগী না হন, এবং শুধু বাড়তি স্ট্রেসের কারণেই অনিদ্রায় ভুগতে শুরু করেন, তাহলে আপনার প্রথম কাজ মানসিক চাপ কমানো। যে বিষয়গুলোর উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করেও লাভ নেই, এটা মনকে বোঝান।
ব্যায়াম করুন : সারাদিন বাড়িতে বসে কাটাবেন না। কিছু শারীরিক কসরত করুন। বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে হাঁটুন, জগিং করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। কিছু না হলে সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করুন। দিনের শুরুতেই ব্যায়ামের কাজটা সেরে ফেললে সারা দিন বাড়তি এনার্জি পাবেন।
ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন : রাতের খাবার খুব দেরি করে খাবেন না। ঘুমতে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা আগে টিভি বন্ধ করে দিন। এড়িয়ে চলুন মোবাইল। ঘরের আলো কম রাখুন। ঘরের পরিবেশ যেন যথাসম্ভব আরামদায়ক থাকে। ঘুম না এলেও রোজ নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।