Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তীব্র খাদ্য সংকট, চলছে দাঙ্গা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম

করোনাভাইরাস মহামারীতে সৃষ্ট খাদ্য সংকটের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। দেশটিতে চলমান বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউনের মধ্যেই দোকানে দোকানে হামলা, একে অপরের উপরে সাথে ছাড়াও সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপরে আক্রমণ হয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

আফ্রিকা নিয়ে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশনের একটি প্রতিবেদনের পরেই এই দাঙ্গা শুরু হয়। সেখানে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছিল যে, আফ্রিকাজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩ লাখে পৌঁছে যেতে পারে। এই মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার শনাক্ত এবং ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে আসন্ন মাসগুলিতে এই পরিসংখ্যান বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কঠোর সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিলে ভাইরাসটি আফ্রিকার প্রায় ১২০ কোটি লোকের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।

আফ্রিকা মহাদেশের অন্য দেশগুলোতেও মহামারি ভয়াবহ হতে শুরু করেছে। লেসোথোও সেনা মোতায়েন করেছে। এদিকে কোভিড নাইন্টিনে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ। মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক প্রাণ হারিয়েছেন। আফ্রিকার ৫৪ দেশের মধ্যে ৫২টিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে কোন মৃত্যু হওয়ার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউন চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং তখন থেকেই কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে এর প্রয়োগ শুরু করে। এর প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবনেও। কেপটাউনে ক্ষুধার্ত মানুষ হামলা করেছে দোকানগুলোতে। এমনকি খাদ্যের জন্য একজন আরেকজনের ওপর ঝাপিয়ে পড়ছে। হামলার স্বীকার হচ্ছে পুলিশ। দেশটির প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে সেখানকার এক সম্প্রদায়ের নেতা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট আমরা খাদ্য সংকটে আছি। এখানে এখন যা চলছে তা যুদ্ধ ছাড়া কিছুই নয়। এর আগে দেশটিতে ৫ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ ৩৫ দিনের লকডাউনের কারণে দেশটিতে শুরু হয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট।

কিছু মানুষকে খাবার দিতে অনেকেই নিজ উদ্যোগে ত্রান বিতরণ করছেন সেখানে। তবে এসব ত্রানের সামনে লাইন বড় হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে বিতরকরা এখন বেছে বেছে শিশু ও প্রতিবন্ধীদের খাদ্য দিচ্ছে। তবে অনেকেই উগ্র আচরণ করছে। জোর করে খাবার ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। হামলা হচ্ছে সরকারের খাদ্য পরিবহণগুলোতেও। তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা করে শত শত মানুষ। ফলে এখন শহরজুরে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। বাধ্য হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছুরেছে পুলিশ। ব্যবহার করা হয়েছে টিয়ার গ্যাস। সূত্র: দ্য সান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ