পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার প্রভাব পড়েছে রাজশাহী অঞ্চলের মুরগি খামারগুলোয়। ঔষধ আর খাবারের অভাবে মড়ক লেগেছে খামারে। বাজারে ডিমের দামও কমে গেছে। খামার থেকে প্রতি শত ডিম বিক্রি হচ্ছে চারশ’ টাকা। অথচ একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে ছয় টাকা।
রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠ হজরমোড়ে মুরগির খামার মনোয়ার কবিরের। মূলত তার খামারে ডিম হয়। দিন পনের আগে হঠাৎ দেখা দেয় সিজনাল অসুখ। কিন্তু প্রয়োজনীয় ঔষধ দিতে পারেননি। আবার মুরগিগুলো সময়মত বিক্রি করতে পারেননি। তার একটি শেডের সাড়ে তিন হাজার ডিমপাড়া মুরগি মারা গেছে। অন্য শেডগুলোর অবস্থা ভাল না। যে ডিম পাওয়া যাচ্ছে তার ক্রেতাও নেই। চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন। তার খামার বন্ধের পথে। শুধু কবির নন মোহনপুরের গোহাইল গ্রামের শামসুলের খামারে ছিল সোনালী জাতের মুরগি। এগুলো খাবারের জন্য বাজারজাত করা হতো। ঔষধ আর প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দিতে না পেয়ে তার প্রায় আড়াই হাজার মুরগি মারা গেছে। বাঘার খামারি এনামুল জানান, তার মুরগিগুলোর ডিম পাড়ার সময় হয়েছে। কিন্তু মুরগিগুলো পর্যাপ্ত খাবার আর ভ্যাকসিনের অভাবে ঝিমিয়ে পড়ছেন। জেলার সর্বত্র মুরগির রোগ দেখা দিয়েছে। নিয়মিত ভ্যাকসিন না দিলে মুরগি বাঁচানো দুরূহ হয়ে পড়বে।
খামারিরা জানান, বাজারে সব দোকান লকডাউনের কারণে বন্ধ। যে দু’চারটি দোকান খোলা রয়েছে সেখানেও মিলছে না ঔষধ ও মুরগির খাবার। পোল্ট্রি ফিডের কারখানাগুলো বন্ধ। পরিবহন বন্ধের কারণে সরবরাহ নেই। ফলে মুরগির খাদ্যের সঙ্কট শুরু হয়েছে। আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে নিয়মিত ভ্যকসিন দেয়া হতো। সেই ভ্যাকসিনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অন্তিম কুমার সরকার জানান, ঢাকা হতে তাদের দফতরের লোক পাঠিয়ে ভ্যাকসিন আনতে হয়। লকডাউনের কারণে এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয় সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।
মুরগি খামারিরা বলছেন, এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে খামারে না থাকবে মুরগি আর না থাকবে ডিম। আসন্ন রমজানে মুরগি আর ডিমের তীব্র সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর খামারিরা লোকসানের মুখে পড়ার সাথে সাথে ঋণের ফাঁসটা আরো আটোসাঁটো হবে। সরকারকে বিষয়টার দিকে নজর দেবার প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।