Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

১৬০-১৭০ টাকায় নেমেছে মুরগির দাম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২২, ৩:২১ পিএম

নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে ব্রয়লার মুরগির মাংসই যেন ‘গরুর মাংস’। তাদের জন্য সুখবর হলো গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। তবে, গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির দাম আরও কমে আসতে পারে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ক্রেতারা বলছেন, সাধারণ মানুষের কাছে এখন মাংস আভিজাত্যের খাবারে পরিণত হয়েছে। তবে, মুরগির দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
মাহমুদুল হাসান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মানিয়ে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুর মাংস তো আসলে সবসময় খাওয়ার মতো অবস্থায় নেই, মুরগির মাংসটাই তাই বেশি চলে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে দেখলাম মুরগির দামটা কিছুটা কম। এটা ভালো বিষয়।

তিনি আরও বলেন, বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
গরুর মাংস বিক্রেতা রাসেল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর মাংস বিক্রি করছি ৬৮০ টাকা। কলিজা ৬৮০ টাকা, বড় গরুর পায়া বিক্রি ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা। আর ছোট গরুর পায়া বিক্রি করছি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। দীর্ঘদিন যাবতই এই দামে বিক্রি করছি। মাংসের দামটা আসলে নির্ভর করে গরুর বাজারের ওপর। গরু যদি বেশি দামে কিনতে হয়, তাহলে তো আমাদেরকেও মাংস বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।
মাংস কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ঈদের একটা প্রভাব রয়ে গেছে। অধিকাংশ মানুষই এখনো ঈদের মাংস খাচ্ছে। সেকারণে বিক্রয়ও কম। তবে মাসখানেক পর আশা করি অবস্থা স্বাভাবিক হবে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বতির এ সময়ে গরুর মাংসের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম যেটা আছে এটাই চলে যদি বিক্রিটা ভালো হয়। দাম কমলেও আমাদের কোন সমস্যা নেই, তখন আবার বিক্রি বেশি হবে।
মেরুল বাড্ডা কাঁচাবাজারেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকা কেজিতে। দাম প্রসঙ্গে আবু তাহের মোল্লা নামে এক বিক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের দাম আগের মতোই আছে। ৬৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। বিক্রিও স্বাভাবিক আছে।

শামীম মিয়া নামের এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহেও মুরগির কেজি ছিল ২০০ টাকা। এখন আবার দাম কমে ১৬০-৭০ এ চলে এসেছে। আজকে ব্রয়লার বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ২৯০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৫৫ টাকা কেজি, সাদা লেয়ার ২১০ টাকা কেজি, আর হাঁস বিক্রি করছে ৪০০-৪৫০ টাকা পিস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ