পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবজির দাম রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়ছে দফায় দফায়। পাশাপাশি সব ধরনের মুরগি-ডিমও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাছের দামও বেশ চড়া। ফলে বাজারে গেলে স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগেই বেড়ে যাওয়া মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটু বেড়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে।
সবজি ও মুরগির চড়া দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সবজির সরবরাহ সাধারণত কম থাকে। এ কারণে সবজির দাম একটু বাড়তি থাকে। এর সঙ্গে এবার বন্যায় অনেক সবজির খেত ও মুরগির ফার্ম নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রভাবে সবজি ও মুরগির দাম বেড়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
ব্রয়লার মুরগির মতো পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম চলতি মাসে দফায় দফায় বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর মুদি দোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চলতি মাসের শুরুতে এক ডজন ডিম ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি করছেন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এ দুটি সবজির দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এই তিন সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটল, করলা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
আগের মতো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, বাজারে সবকিছু দাম ব্যাপক চড়া। ৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। চাল, ডাল, তেল, চিনি তো অনেক আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। জিনিসপত্রের এমন দাম আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষগুলো বেশি বিপদে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।