নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ছোবলে সারা বিশ্বে সব কিছুই এখন প্রায় স্থবির। মানুষ ঘরবন্দি। করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছু বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া অসহায় দিনমজুররা। দিন আনেন দিন খান- এমন মানুষগুলোই এখন বেশী অসহায়। কাজ না থাকলে অন্যের সাহায্য ছাড়া তাদের একদিনও চলে না। এসব মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সরকার প্রধানসহ সমাজের বিত্তবান, স্বচ্ছল ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। যে যার মতো করেই সহযোগিতা করছেন অসহায়দের। দেশের অন্যান্য অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনের সামর্থ্যবানরাও চেষ্টা করছেন গরীব ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ীই তারা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের। এ ধারাবাহিকতায় এবার অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সাতক্ষীরার কিছু অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। শনিবার সাবিনা তার নিজ জেলা সাতক্ষীরায় ৭০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন। এদিন সকালে প্রত্যেক পরিবারকে তিনি চাল, ছোলা, মুড়ি, তৈল ও আলু প্রদান করেন। কিছু গরীব অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে তাদের ডেকেছিলেন এই নারী ফুটবলার। নিজ উদ্যোগে গরীবদের সহায়তা করেছেন তিনি।
গরীব, অসহায়দের খাদ্যসামগ্রী দেয়াটাকে ‘ত্রাণ’ বলেৈত চান না সাবিনা। তিনি বলছেন এটা অসহায়দের জন্য তার পক্ষ থেকে ‘ক্ষুদ্র উপহার’।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে নিজের ফেইসবুক পেজে সাবিনা কিছু সামগ্রীর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত আমার এলাকা সাতক্ষীরার ৭০ পরিবারের জন্য আমার ক্ষুদ্র উপহার। আল্লাহ, এই মহামারি থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।’ এরপর সাবিনার আহ্বান, ‘আসুন, আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা থেকে মুঠোফোনে সাবিনা ইনকিলাবকে বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আমি দেখছিলাম আশপাশের কিছু মানুষ কষ্ট করছেন। তখন আমি নিজের থেকে একটা তালিকা তৈরি করে আজ (শনিবার) সকালে তাদের ডেকেছিলাম। আমি যতটুকু পেরেছি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানরা যদি তার আশপাশের মানুষগুলোকে দেখেন তাহলে কেউই না খেয়ে থাকবেন না। আমাদের সবারই উচিত এই দুঃসময়ে অসহায়দের পাশে থাকা।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৪৪ জন। যার মধ্যে মারা গেছেন ৮৪ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।