মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এ কোন মৃত্যু? কেউ কি দেখেছে মৃত্যু এমন, শিয়রে যাহার ওঠে না কান্না, ঝরে না অশ্রু?। বিশ্বমানবতা আজ কাঁদছে গুমরে গুমরে। আর্তনাদ উঠছে চারদিকে লাশের মিছিল দেখে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে মানুষ।
আতঙ্কিত হওয়ারই কথা, কেননা এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি। ফলে ইচ্ছা থাকলেও ধারে কাছে যাওয়ার সাহস হয়ে উঠে না। লাশের ধারে কাছে ঘেঁষছে না আপনজনরা। ফলে অধিকাংশ লাশই একাকি নিষ্ঠুরভাবে দাফন করা হচ্ছে। করোনায় মৃতদের লাশ নিয়ে প্রতিদিন ঘটছে নানা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা।
এমন একটি ঘটনা এবার দেখা গেল ভারতে। বার্তা সংস্থা এপির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য।
মহিলার দেহ বহনকারী ভ্যানটি কবরস্থানের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থান করলেও গেটের পাশ দিয়ে জুম করে সেটি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন এপির ফটোগ্রাফার। এটি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কভিড-১৯ এ মারা যাওয়া মুসলমানদের কবর দেওয়ার জন্য সংরক্ষিত স্থান।
ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে বাইরে এসে মুখোশ এবং রাবারের গ্লোভস পরা চারজনকে ডাকলেন। তারা হলুদ রঙের প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে ঢাকা দেহটি টেনে নিয়ে চুপ করে রইল। একটু দূরেই একটি আর্থ মুভার (খনন যন্ত্র) গর্জন করছে, এটি সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে।
করোনভাইরাস মহামারির সর্বনাশা পরিণতিগুলির মধ্যে একাকী কবরস্থ করার বিষয়টি সবচেয়ে বেদনাদায়ক। মৃত্যুবরণকারীদের তাদের প্রিয়জনের কাছ থেকে চূড়ান্ত আলিঙ্গনের অনুমতি নেই। এবং কখনও কখনও, তারা একটি সঠিক সমাধিও পায় না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় লকডাউন চালু করা ভারত সরকার কর্তৃক আরোপিত অনেক বিধিনিষেধের মধ্যে ২০ জনের বেশি লোককে একটি জানাজায় অংশ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনভাইরাসে ১৩ হাজার ৩৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃতবরণ করেছেন ৪৩৭ জন।
বৃহস্পতিবার, ৫২ বছর বয়সী ওই মহিলার সমস্ত আত্মীয়দের মধ্যে মাত্র চারজন পুরুষ কবরস্থানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়, আর্থ মুভারের বিশাল ধাতব চোয়ালটি মাটি সরিয়ে বড় একটা গর্ত খনন করল। সাধারণ মুসলিম সমাধির চেয়ে এটা ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। অনেকটা ময়লা ফেলার গর্তের মতো।
একজন মুসলিম ধর্মীয় ইমাম ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে জানাজা নামাজ শেষ করেন এবং এক আত্মীয় তার পকেট থেকে গোলাপ জলের শিশি বের করে কিছুটা শরীরে ছিটিয়ে দেয়। এরপর দেহটি দড়িতে বেঁধে টেনে সেই গর্তে নামানো হয়েছিল। লোকেরা দূরে দাঁড়িয়ে কয়েক মুঠো মাটি কবরে ফেলে দিলো এবং চলে গেল। এবার আর্থ মুভারটি আরো কাছে পৌঁছে তার ধাতব চোয়াল দিয়ে মাটি তুলে কবর ডেকে দিল।
শূন্য ভ্যানটি ধুলা উড়িয়ে সাইরেন বাঁজাতে বাঁজাতে দ্রুত বেরিয়ে গেল। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে, সেখানে আরও তিনটি লাশ অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়ার্ল্ডোমিটার ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৯ জন। মারা গেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৬ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৫৬ হাজার ৯৬৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার ১০৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।