বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মেয়ের বাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (৪৪)। তাঁকে একটি ভ্যান গাড়ি থেকে নামিয়ে সড়কের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর এ ধরনের ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ল²ীগঞ্জ এলাকার কমুরিয়ারচর নামক স্থানে। ঘটনার পর ধর্ষিতা নারীর দেখানো মতে শহীদ মিয়া(৩০) নামে একজনকে আটক করেছে এলাকাবাসি। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র ও পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামে। করোনা ঘটনার আগে টঙ্গীতে থাকা মেয়ের বাসায় অবস্থান করায় সেখানেই আটকা পড়েছিলেন। থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা ওই নারী জানান, চারপাশে লকডাউন থাকায় তিনি অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের বাড়ি যেতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মেয়ের বাসা থেকে সকালে রওনা হন বাড়ির উদ্দ্যেশে। কিছু সময় হেটে ও অনেক সময় অটো-সিএনজি করে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসেন। এ সময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। পরে তিনি আবারও হেটে রওনা হন। এমন সময় একটি ইজিবাইক যোগে ঈশ্বরগঞ্জ সদরে আসেন। সেখান থেকে অন্য এক কিশোরের সাথে একটি ভ্যান গাড়িতে উঠেন নান্দাইল চৌরাস্তা যাওয়ার উদ্দ্যেশে সেখানেই স্বামী অপেক্ষায় ছিলেন তাঁকে নিয়ে যেতে। এমতাবস্থায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ল²ীগঞ্জ নামক বাসস্ট্যান্ডে আসতেই পথরোধ করে ৪/৫জন ব্যক্তি। তারা তাঁকে জোরপূর্বক ধরে কিছু দূরে সড়কের পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে একজন ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে পালাক্রমে অন্যরা আসতে থাকলে চিৎকার দেন। এ অবস্থায় সকলেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ল²ীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে তিনি অভিযুক্তদের বর্ণনা মতে চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেন। এর আগেই ধর্ষিতা নারীর দেখানো মতে শহীদ নামে একজনকে আটক করে। পরে সুজনের স্বীকারোক্তিতে আরো তিনজনের নাম পাওয়া যায়। তারা তাঁর(নারী) কাছে থাকা নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত সুজন হচ্ছে স্থানীয় কুমুরিয়ার চরের আব্দুস ছমেদের ছেলে। অন্য তিনজন হলো মোজাটিয়া গ্রামের মোতালেবের ছেলে শহীদ মিয়া, একই গ্রামের ওয়াহেদের ছেলে লাল মিয়া(৩৭) ও মো. মোমেনের ছেলে শফিক মিয়া(৩৫)।
স্থানীয় মাইজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, ধর্ষণের পর ওই নারীর বর্ণনা মতে সকলকেই চিহ্নিত করা গেছে। তারা সকলেই মাদকাসক্ত ছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের গ্রেফতারে সহযোগিতা করা হবে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো.মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, এঘটনায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে, একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।